অসচেতন: নির্মীয়মাণ বাড়ির পাশে জমা জল। নিউ টাউনে। নিজস্ব চিত্র
দক্ষিণ দমদম থেকে বিধাননগর পুর এলাকা। নির্মীয়মাণ একাধিক বহুতলে জমিয়ে রাখা জলে মশার লার্ভার সন্ধান পেয়েছে পুর প্রশাসন। কড়া পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, তাতেও অনেক ক্ষেত্রে ঘুম ভাঙেনি সংশ্লিষ্ট সংস্থার। বিশেষত নির্মীয়মাণ বহুতল এবং বিভিন্ন প্রকল্পগুলিতে তৈরি করা ছোট-বড় চৌবাচ্চায় জল জমে মশার আঁতুড় তৈরি হয়েছে।
একই ছবি দেখা গিয়েছে নিউ টাউনেও। পরিকল্পিত এই উপনগরীতে তৈরি হচ্ছে অসংখ্য বহুতল, সরকারি-বেসরকারি নানা প্রকল্প। নির্মাণ কাজের জন্য বেশ কিছু ক্ষেত্রে অস্থায়ী চৌবাচ্চা তৈরি করে জল ধরে রাখা হয়েছে। কিন্তু সেই জল যে বদলানো হয় না, তা স্পষ্ট। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, জমা জল সরানোর কথা প্রশাসনের তরফে প্রচার করা হলেও কেউ গ্রাহ্য করেন না। ফলে মশা বাড়ার পাশাপাশি বাড়ছে মশাবাহিত রোগও।
যেমন, নিউ টাউনের অ্যাকশন এরিয়া ১ডি। ওই এলাকা থেকে শুরু করে নিউ টাউন থানার পিছনে বেশ কিছু প্রকল্প এলাকায় এমন অস্থায়ী জলাধার নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন বাসিন্দারা। তাঁদের কথায়, নিয়মিত মশা মারার তেল ছড়ানো হয় না, দেওয়া হয় না ধোঁয়াও। প্রশাসনের তরফে নির্মীয়মাণ প্রকল্প এলাকায় নজরদারি চালিয়ে পদক্ষেপ করা হোক, সেই দাবিও তুলেছেন তাঁরা।
যদিও নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এনকেডিএ)-র দাবি, তাঁরা পতঙ্গবিদ নিয়োগ করে মশার উৎসস্থল চিহ্নিত করে তা ধ্বংসের কাজ চালাচ্ছেন কয়েক মাস ধরে। পাশাপাশি, দল গঠন করে নিয়মিত সচেতনতা প্রসারের কাজও চালানো হচ্ছে। এনকেডিএ-র চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন জানান, মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে এক দিকে সচেতনতায় জোর দেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে, নিয়মিত মশার ধোঁয়া এবং তেল ছড়ানো ও এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখার কাজ চলছে।
এনকেডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যক্তিগত বা বেসরকারি মালিকানাধীন প্রকল্প এলাকায় যে অস্থায়ী চৌবাচ্চা করে জল জমিয়ে রাখা হচ্ছে, সে বিষয়ে তারা ওয়াকিবহাল। বহু ক্ষেত্রে মালিকদের নোটিস পাঠানো হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে মালিকদের চিহ্নিত করা যায়নি। সেই সব ক্ষেত্রেই পদক্ষেপ করছে প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy