অবশেষে আসল শংসাপত্র পেতে চলেছেন আমেরিকায় থাকা, পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ থেকে পিএইচ ডি করা গবেষক। পিএইচ ডি-র আসল শংসাপত্র সঙ্গে না থাকায় ট্রাম্প জমানায় প্রবল আতঙ্কে ছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, প্রয়োজনীয় কাগজ ছাড়া যে সব বিদেশি এখন আমেরিকায় আছেন, তাঁদের খুঁজে বার করতে হানা দিচ্ছে সে দেশের অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগকারী সংস্থা।
গত বুধবার উচ্চশিক্ষা দফতর রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দেয়, অবিলম্বে ওই গবেষকের আসল শংসাপত্র দিতে হবে। বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল তথা আচার্য সি ভি আনন্দ বোসও এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুমতি দিয়েছেন। ওই গবেষক এখন আমেরিকার একটি প্রতিষ্ঠানে বৈধ ভিসায় পোস্ট-ডক্টরাল স্কলার হিসাবে রয়েছেন। আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে গেলে প্রার্থীর যোগ্যতার আসল শংসাপত্র জমা দিতে হয়। কিন্তু ওই গবেষক ২০২২-এ পিএইচ ডি শেষ করলেও সমাবর্তন না হওয়ার কারণে আসল শংসাপত্র পাচ্ছিলেন না।
রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য সৌরেন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ভেরি স্পেশ্যাল কেস হিসাবে উচ্চশিক্ষা দফতর ওই গবেষকের আসল সার্টিফিকেট দিতে বলেছে। আচার্যও ভেরি স্পেশ্যাল কেস হিসাবে বিষয়টি দেখার অনুমতি দিয়েছেন। শীঘ্রই ওই গবেষক আসল শংসাপত্র পেয়ে যাবেন। আমরা সেটি ডিজি লকারেও আপলোড করে দিয়েছি।’’ আর ওই গবেষকের প্রতিক্রিয়া, ‘‘হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)