প্রতীকী ছবি।
করোনার আগ্রাসন বেড়ে চলায় আপাতত ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তার পরে রাজ্য সরকার কী নির্দেশ দেয়, তা দেখেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে। পাশাপাশি, বেশির ভাগ স্কুলে নবম থেকে দ্বাদশের পড়ুয়াদের প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ প্রায় শেষ হতে চললেও কিছু স্কুলে ওই কর্মসূচি সবে শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় বুধবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে সিআইএসসিই বোর্ড তাদের অধীন স্কুলগুলিতে দ্বাদশের প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা নেওয়া ও প্রজেক্ট পেপার জমা নেওয়ার শেষ দিন ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়াল। আগের সূচি অনুযায়ী তা শেষ করতে হত ৩১ জানুয়ারির মধ্যে। অধিকাংশ স্কুলের শিক্ষকেরা মনে করছেন, প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা নেওয়ার দিন বাড়ানোর ফলে তাঁদের এবং পড়ুয়া-অভিভাবকদের সুবিধাই হল।
প্রসঙ্গত, সিআইএসসিই বোর্ডের প্রথম সিমেস্টারের পরীক্ষা শেষ হয়ে গিয়েছে। এপ্রিল নাগাদ দ্বিতীয় সিমেস্টার হওয়ার কথা। শহরের কয়েকটি স্কুলের অধ্যক্ষেরা জানালেন, জানুয়ারি মাস জুড়ে দ্বাদশের প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা আয়োজন করার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। কিন্তু অতিমারির রক্তচক্ষু সেই পরিকল্পনায় কার্যত জল ঢেলে দেয়। এই অবস্থায় পড়ুয়াদের প্রতিষেধক দেওয়া শেষ করে আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে কী ভাবে প্র্যাক্টিক্যাল মেটানো সম্ভব, তা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন তাঁরা। এখন সেই সময়সীমা এক মাস বাড়ায় তাঁরা অনেকটাই স্বস্তি পেলেন। অধ্যক্ষদের আশা, ১৫ জানুয়ারির পরে স্কুল না খুললেও প্র্যাক্টিক্যালের বিষয়গুলিকে অফলাইনে নেওয়ার অনুমতি দেবে রাজ্য সরকার।
ডন বস্কো, পার্ক সার্কাসের অধ্যক্ষ ফাদার বিকাশ মণ্ডল জানিয়েছেন, তাঁদের নবম থেকে দ্বাদশের সব ছাত্র প্রতিষেধক পেয়ে গিয়েছে। তাঁরা এ বার দ্বাদশের পড়ুয়াদের প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষার জন্য ডাকবেন। তবে সবটাই নির্ভর করছে ১৫ জানুয়ারির পরে পরিস্থিতি কেমন থাকে, তার উপরে। মর্ডান হাইস্কুল ফর গার্লসের ডিরেক্টর দেবী কর জানিয়েছেন, তাঁদের স্কুলে বুধবার থেকে পড়ুয়াদের প্রতিষেধক দেওয়া শুরু হয়েছে। তা শেষ হলে তাঁরা প্র্যাক্টিক্যালের সূচি তৈরি করবেন।
রামমোহন মিশন হাইস্কুলের অধ্যক্ষ সুজয় বিশ্বাসের মতে, প্রতিষেধক নেওয়ার পর পরই প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা শুরু করে দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, প্রতিষেধক নেওয়ার পরে অনেকের জ্বর আসে। তাই পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য কিছুটা সময় লাগবে। এই অবস্থায় পরীক্ষার শেষ তারিখ বাড়ানোয় তাঁরা কিছুটা স্বস্তি পেলেন।
ন্যাশনাল ইংলিশ স্কুলের অধ্যক্ষা মৌসুমী সাহা জানান, প্র্যাক্টিকাল পরীক্ষা ও প্রজেক্ট পেপার জমা দেওয়ার তারিখ বাড়ানোয় পরীক্ষার্থীদের সুবিধাই হল। প্রতিষেধক নেওয়া হয়ে যাওয়ায় তারা অনেক নিশ্চিন্তে পরীক্ষা দিতে পারবে। তবে অধ্যক্ষেরা এ-ও জানাচ্ছেন, ছাত্রছাত্রীদের প্রতিষেধক নেওয়া হয়ে গেলেও করোনা-বিধি এতটুকুও শিথিল করা হবে না। পড়ুয়াদের একাধিক দলে ভাগ করে, দূরত্ব-বিধি বজায় রেখে পরীক্ষা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy