প্রতীকী ছবি।
সারা গায়ে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। সেই অবস্থাতেই ‘বাঁচাও বাঁচাও’ করে রাস্তায় দৌড়চ্ছেন এক মহিলা। চোখের সামনে এমন দৃশ্য দেখে হকচকিয়ে গিয়েছিলেন স্থানীয়েরা। পরে তাঁরা জানতে পারলেন, ওই মহিলার গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন তাঁরই এক আত্মীয়া।
রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে বরাহনগরে। পারিবারিক অশান্তির জেরে বড় জায়ের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগে ছোট জা সুস্মিতা দাসকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বড় জা শ্যামলী দাস (৪৮) কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বরাহনগরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের লেকভিউ পার্ক এলাকার বাসিন্দা মালতি দাসের দুই ছেলে। দোতলা বাড়িতে সবাই একই সঙ্গে থাকতেন। দীর্ঘদিন ধরে সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে ছোট ছেলের পরিবারের সঙ্গে ঝামেলা চলছিল মালতিদেবী ও তাঁর বড় ছেলের পরিবারের। অভিযোগ, শনিবার দোতলা থেকে একতলায় নামার সিঁড়িতে তালা লাগিয়ে দেন সুস্মিতা। সেই নিয়ে দুই পরিবারে ঝামেলা বাধে। পরে স্থানীয় ক্লাবের মধ্যস্থতায় সমস্যা মেটে।
মালতিদেবী বলেন, ‘‘আমার আর আমার দুই ছেলের মধ্যে সম্পত্তি ভাগ করা নিয়েই যত অশান্তি। তাই ঠিক করি সম্পত্তি দুই ছেলের মধ্যেই ভাগ করে দেব। শনিবার রাতেই স্থানীয়দের সেটা জানিয়ে দিই।’’ তিনি জানান, রবিবার ঘটনার সময়ে বাড়িতে ছেলেরা কেউ ছিলেন না। শ্যামলী দোকানে যাওয়ার জন্য বেরোচ্ছিলেন। আগে থেকেই একতলার দরজা বন্ধ করে রেখেছিলেন সুস্মিতা। অভিযোগ, শ্যামলী সিঁড়ি দিয়ে নেমে দরজার দিকে বাঁক নিতেই তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেন সুস্মিতা। সেই অবস্থাতেই কোনও মতে দরজার ছিটকানি খুলে রাস্তায় বেরিয়ে পরেন শ্যামলী।
স্থানীয়েরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে শ্যামলীর বয়ান নথিভুক্ত করেছে। পুলিশের দাবি, তিনিও সুস্মিতার বিরুদ্ধেই অভিযোগ করেছেন। ঘটনার রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy