প্রচার: ‘সেভ ওয়াটার ডে’ উপলক্ষে মিছিল। শুক্রবার, সল্টলেকের পাঁচ নম্বর সেক্টরে। নিজস্ব চিত্র
সল্টলেকের পাঁচ নম্বর সেক্টরে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পতালুকে নতুন বাড়ি নির্মাণ কিংবা পুরনো বাড়ির সম্প্রসারণ করতে হলে বাধ্যতামূলক ভাবে বৃষ্টির জল সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। এই ব্যবস্থা করলে নকশা অনুমোদনের ফি-এর ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ছাড় দেওয়া হবে। শুক্রবার এই নির্দেশিকা জারি করেছেন শিল্পতালুকের প্রশাসনিক সংস্থা নবদিগন্ত শিল্পনগরী কর্তৃপক্ষ।
জল সংরক্ষণ নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে ১২ জুলাই দিনটি ‘সেভ ওয়াটার ডে’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিষয়টি নিয়ে জনমত গড়ে তুলতে এ দিন সকালে পাঁচ নম্বর সেক্টরে একটি মিছিলের আয়োজন করেন নবদিগন্ত শিল্পনগরী কর্তৃপক্ষ। শিল্পতালুকে প্রায় দেড় কিলোমিটার পথ পার করে রিং রোডে মিছিলটি শেষ হয়। মিছিল শেষ হওয়ার পরে জল সংরক্ষণের জন্য শপথ বাক্য পাঠ করা হয়। তার আগে শিল্পতালুকে ইতিমধ্যেই বৃষ্টির জল সংরক্ষণ কী ভাবে হচ্ছে, তা নিয়ে একটি প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, নবদিগন্তের চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন প্রমুখ।
নবদিগন্ত সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কয়েকটি সংস্থা বৃষ্টির জল সংরক্ষণের কাজ করেছে। এ বার থেকে নতুন বাড়ি তৈরি এবং পুরনো বাড়ির সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে ওই ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। বাড়ির নকশা তৈরির সময়েই সেই ব্যবস্থা রাখতে হবে। নবদিগন্তের এক আধিকারিকের দাবি, বাড়িতে বৃষ্টির জল সংরক্ষণের ব্যবস্থা করার বিষয়টি নিয়ে অন্য পুরসভার পক্ষ থেকে নাগরিকদের উৎসাহ দেওয়া হয়। কিন্তু বাড়িতে ওই ব্যবস্থা করা বাধ্যতামূলক নয়। তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পতালুকে বৃষ্টির জল সংরক্ষণের বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর ফলে ওই জল নতুন বাড়ির বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যেমন সম্ভব হবে, তেমনই ভূগর্ভস্থ জলস্তর বৃদ্ধিতেও সহায়ক হবে।
তবে শুধু পাঁচ নম্বর সেক্টরেই নয়, নিউ টাউনেও জল সংরক্ষণ নিয়ে এ দিন নানা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। কোথাও বসে আঁকো প্রতিযোগিতা, কোথাও প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা, ছিল জল সংরক্ষণ নিয়ে প্রবীণদের জন্য স্লোগান লেখার প্রতিযোগিতাও। এর পরে একটি মিছিলের আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি, কী ভাবে ব্যবহার করা জল আবার কাজে লাগানো যায়, মডেলের মাধ্যমে তা দেখানো হয়।
নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির এক কর্তা জানান, জল সংরক্ষণ নিয়ে এক দিকে সচেতনতার প্রসার এবং অন্য দিনে প্রশাসনিক ভাবে জল সংরক্ষণের কাজ সুনিশ্চিত করার ব্যবস্থা গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। বছরভর এই কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে জনমত গঠনে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy