—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে গত বছরের অগস্ট মাসে র্যাগিংয়ের জেরে এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় বেশ কয়েক জন অভিযুক্ত আদালতে মামলা করেছেন। সেই মামলার খরচ চালাতে অর্থ সংগ্রহ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার জন্য মেন হস্টেলেই রবিবার রাতে বৈঠক (জিবি) ডাকেন তাঁরা। বিষয়টি জানাজানি হতেই তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, এমন একটি ঘটনায় অভিযুক্তদের জন্য আবার সেই মেন হস্টেলেই কী করে বৈঠক ডাকা হল!
সূত্রের খবর, বিষয়টি জানার পরেই হস্টেল সুপার বৈঠক করতে বারণ করেন। কিন্তু ওই ছাত্রেরা তাঁর কথা না শুনে বৈঠক শুরু করে দেন। এর পরে ডিন অব স্টুডেন্টস রজত রায় অভিযুক্ত এক ছাত্রকে ফোন করে জানান, এই বৈঠক হতে পারে না। রজত সোমবার বলেন, ‘‘আমি ফোন করার পরে মিটিং বন্ধ করা হয়।’’
পড়ুয়ার মৃত্যুর সেই ঘটনার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্টি-র্যাগিং কমিটি তদন্ত করে বেশ কয়েক জনকে দোষী হিসাবে চিহ্নিত করে। কিছু দিন আগে তাঁদের শো-কজ় করা হয়। সেই শো-কজ়ের চিঠির বিরুদ্ধেই ১৫ জন অভিযুক্তের মধ্যে মেন হস্টেলের এ২ ব্লকের ১৪ জন হাই কোর্টে মামলা করেন। এ বার ওই মামলা লড়ার টাকা তোলার জন্য বৈঠক ডাকা হয়েছিল সেই মেন হস্টেলেই।
প্রসঙ্গত, বছর গড়িয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত ছাত্র-মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তেরা শাস্তি পাননি। এ দিন রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু জানালেন, রবিবার বিষয়টি জানার পরেই ডিন অব স্টুডেন্টস এবং অ্যান্টি-র্যাগিং স্কোয়াডের প্রধানকে বিষয়টি তিনি জানিয়েছিলেন। এর পরেও এমন বৈঠক ডাকা হলে কর্তৃপক্ষ কী করবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘এই সপ্তাহে ‘নাক’-এর প্রতিনিধিদের আসা নিয়ে আমরা ব্যস্ত। এর পরে সকলের মতামত নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির (জুটা) সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় এ দিন বলেন, ‘‘খুবই দুঃখের বিষয় যে, এক জন ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় র্যাগিংয়ে যুক্তদের শাস্তি দেওয়া যাচ্ছে না। এই রকম চলতে থাকলে র্যাগিং যারা করে, তারা উৎসাহিত হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy