Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

অরক্ষিতই রইল রবীন্দ্র সরোবর

সরোবরের এক নিরাপত্তাকর্মীর অভিযোগ, ফের তালা কিনে আটকানোয় তেমন সমস্যা নেই। ওই সব ভারী গেটে তালা লাগাতে সাধারণত দু’টি দরজায় শিকল ব্যবহার করা হয়।

গেটে নেই তালা। এ ভাবেই অরক্ষিত রবীন্দ্র সরোবর। রবিবার। নিজস্ব চিত্র

গেটে নেই তালা। এ ভাবেই অরক্ষিত রবীন্দ্র সরোবর। রবিবার। নিজস্ব চিত্র

কৌশিক ঘোষ
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৯ ০২:৫৩
Share: Save:

আপাতত রবীন্দ্র সরোবর অরক্ষিতই রয়ে গেল।

শনিবার সরোবরে যে সাতটি গেটের তালা ভাঙা হয়েছিল রবিবারও সেগুলি অরক্ষিত হয়ে রইল। যদিও নতুন করে এ দিন কোনও গেটের তালা ভাঙার আর অভিযোগ ওঠেনি। তবে শনিবারের পরে ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও গেটগুলির তালা বদলানো হয়নি। ফলে তালা ভাঙা ওই পথ দিয়ে যে কোনও সময়েই বহিরাগতদের প্রবেশ করার আশঙ্কা থাকছে বলে মনে করছেন সরোবর কর্তৃপক্ষ।

সরোবরের এক নিরাপত্তাকর্মীর অভিযোগ, ফের তালা কিনে আটকানোয় তেমন সমস্যা নেই। ওই সব ভারী গেটে তালা লাগাতে সাধারণত দু’টি দরজায় শিকল ব্যবহার করা হয়। তালা লাগানো হয় ওই শিকলেই। কিন্তু গেটগুলির গায়ে হাতুড়ির বারবার আঘাতে তা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কোনও চাবি কাজ না করায় অকেজো হয়ে গিয়েছে তালাও। কিছু তো আবার উধাও হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। ফলে তালা বদলানোর পাশাপাশি সারাতে হবে সরোবরের একাধিক গেট, জানাচ্ছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। সরোবরের নিরাপত্তা পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া তাই একটু সময় সাপেক্ষ।

কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানান, যত ক্ষণ না তালা বদলানো হচ্ছে এবং গেটগুলির আংটা-শিকল ঠিক করা হচ্ছে, তত ক্ষণ বাড়তি নিরাপত্তারক্ষী বহাল থাকবেন সরোবরের গেটে। তা ছাড়াও চত্বরের মধ্যে টহলদারি বাড়ানো হবে। দিন কয়েকের মধ্যেই সব গেট ঠিক করে নতুন তালা দিয়ে দেওয়া হবে বলেও কর্তৃপক্ষের দাবি।

জাতীয় আদালতের নির্দেশ মানতে শুক্রবার রাত থেকে রবীন্দ্র সরোবরের ১৮টি গেট বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। শনিবার ভোরে সরোবরে ছটপুজো করার দাবিতে পুণ্যার্থীরা বিভিন্ন গেট দিয়ে বলপূর্বক ঢুকতে যান। কিন্তু গেট বন্ধ থাকায় সরোবরের সাতটি গেটের তালা বিভিন্ন সময়ে ভেঙে দেওয়া হয়। কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, রবিবার ভোরে পুলিশের সামনে দিয়ে ওই গেটগুলি দিয়ে ঢোকেন পুণ্যার্থীরা। শনিবার দুপুরের পর থেকে সারা রাত গেটগুলি খোলা ছিল। ফলে লোকজন অবাধে প্রবেশ করেছেন বলে জানানো হয়েছে। অথচ সরোবর কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী, প্রতিদিন রাত আটটার পরে সব গেট বন্ধ করার কথা। প্রাতর্ভ্রমণকারীদের জন্য ভোর পাঁচটায় খুলে দেওয়া হয় দরজা। চুরি কিংবা অসামাজিক কাজ বন্ধ করতেই কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপ।

নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেএমডিএ-র এক কর্মী রবীন্দ্র বারিক জানান, শনিবার এলাকায় প্রচুর জনসমাগম থাকায় খুব সমস্যা হয়নি। কিন্তু রবিবার রাত থেকে এলাকা ফাঁকা হয়ে গেলে সমস্যা হবে। সে ক্ষেত্রে গেটগুলিকে শক্ত ধাতব পাত দিয়ে বেঁধে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ দিন পুজোর পরে ভিড় কমলে বেলায় ওই গেটগুলি পরিদর্শন করে কী কী ক্ষতি হল তার একটি রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। এর পরে সেগুলি মেরামতি করার কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। সরোবরের নিরাপত্তায় থাকা কর্মীরা জানাচ্ছেন, সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গোবিন্দপুর সংলগ্ন গেটটি।

অন্য বিষয়গুলি:

Rabindra Sarobar Gate Chhath Puja
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE