Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
Rabindra Sarobar

প্লাস্টিকের বোতল ঠেকাতে ক্রাশার রবীন্দ্র সরোবরে, বিতর্ক

‘নো প্লাস্টিক’ জ়োন হিসেবে শহরের যে দ্রষ্টব্যগুলি চিহ্নিত, তাদের মধ্যে অন্যতম রবীন্দ্র সরোবর।

রবীন্দ্র সরোবরে এই ক্রাশার বসানো নিয়েই শুরু বিতর্ক। নিজস্ব চিত্র

রবীন্দ্র সরোবরে এই ক্রাশার বসানো নিয়েই শুরু বিতর্ক। নিজস্ব চিত্র

কৌশিক ঘোষ
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০২:৪২
Share: Save:

নিয়ম চালু করা হয়েছে সকলের জন্য। অথচ যেন ধরেই নেওয়া হয়েছে, সেই নিয়ম মানা হবে না।

‘নো প্লাস্টিক’ জ়োন হিসেবে শহরের যে দ্রষ্টব্যগুলি চিহ্নিত, তাদের মধ্যে অন্যতম রবীন্দ্র সরোবর। খাতায়-কলমে এই নিয়ম থাকলেও সরোবর চত্বরে প্রতিদিনই পাওয়া যায় প্রচুর সংখ্যক প্লাস্টিকের বোতল। সেগুলি তুলে গুঁড়ো করে নষ্ট করে দেওয়ার জন্য সপ্তাহখানেক আগে সরোবরের দু’টি জায়গায় বসানো হয়েছে ক্রাশার। তার পরেই প্রশ্ন উঠেছে, ‘নো প্লাস্টিক জ়োন’-এ এই ধরনের যন্ত্র বসানোর অর্থ কি পরোক্ষ ভাবে প্লাস্টিকের ব্যবহারকেই প্রশ্রয় দেওয়া নয়?

পরিবেশকর্মী থেকে শুরু করে সরোবরে আসা প্রার্তভ্রমণকারীদের একটা বড় অংশের আরও প্রশ্ন, জাতীয় কোনও সরোবর চত্বরে প্লাস্টিক আনা হবে কেন? পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত বলেন, ‘‘প্লাস্টিক বর্জিত এলাকায় ‘প্লাস্টিক বট্‌ল ক্রাশার’ বসানোর অর্থই হয় না। এখানে প্লাস্টিকের ব্যবহার যে কোনও প্রকারে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। আমি ফের পরিবেশ আদালতে বিষয়টি জানাব।’’ কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছেন, সরোবর চত্বরে কোথাও যাতে প্লাস্টিকের বোতল পড়ে না থাকে সে জন্য রাজ্য পরিবেশ দফতরের নির্দেশ মেনেই এই যন্ত্র বসানো হয়েছে।

প্লাস্টিকের বোতল নিয়ে যাঁরা রবীন্দ্র সরোবরে আসেন, তাঁরা বোতল ব্যবহার করার পরে যেখানে-সেখানে ফেলে দেন। আগে সেগুলি তুলে একটি জায়গায় জড়ো করা হত। পরে তা সরিয়ে নেওয়া হত। অনেক সময়ে সরোবর চত্বর বা তার আশপাশে হাওয়াতেও উড়ে আসে খালি বোতল। সেগুলিও ইতিউতি ছড়িয়ে থাকত। ক্রাশারে এই সব বোতল ফেলে দিলে তা অল্পক্ষণের মধ্যে গুঁড়ো হয়ে মেশিনেই থেকে যায়। কেএমডিএ কর্তৃপক্ষের দাবি, এর ফলে প্লাস্টিকের বোতলে চত্বর নোংরা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। সে সব ভেবেই ক্রাশার বসানো হয়েছে।

মঙ্গলবার রবীন্দ্র সরোবরে গিয়ে দেখা গেল, জলে ভাসছে প্লাস্টিকের বোতল ও প্যাকেট। এ ছাড়াও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে আবর্জনা। কর্মীরা জল থেকে প্লাস্টিকের বোতল তুলে সেগুলি ক্রাশারে ফেলছেন।

কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, সরোবর চত্বর পর্যন্ত প্লাস্টিক পৌঁছবে কেন? যাঁরা প্লাস্টিক নিয়ে ঢুকছেন, তাঁদের কেন গেটেই আটকানো হবে না?

রবীন্দ্র সরোবরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক সুধীন নন্দী বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে চাননি। তবে কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষীরা জানান, কারও হাতে প্লাস্টিকের বোতল বা প্যাকেট দেখতে পেলে তা আটকানো হয় ঠিকই। কিন্তু ব্যাগের মধ্যে থাকা জলের বোতল বা অন্য প্লাস্টিকজাত দ্রব্য আটকানো সম্ভব হয় না। সে ক্ষেত্রে অনেক সময়েই দর্শকেরা আপত্তি করেন। কেএমডিএ কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, প্লাস্টিক ঠেকাতে নজরদারি আরও বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Rabindra Sarobar Plastic Bottle Crusher
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy