আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে জুনিয়র ডাক্তারদের ‘অভয়া ক্লিনিক’-এ প্রথম দিনেই ৫০০ জনের চিকিৎসা করা হয়েছে। শনিবার এ কথা জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। শুক্রবার তারা ঘোষণা করেছিল, শনিবার থেকে আরজি করের আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকেরা ‘টেলিমেডিসিন’ পরিষেবা দেবেন। সেই মতো শনিবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় পরিষেবা।
গত ৯ অগস্ট আরজি করে এক মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পর থেকেই হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। এই ঘটনার বিচারের দাবিতে কর্মবিরতির ডাক দেন তাঁরা। বিচারের পাশাপাশি তাঁদের সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আন্দোলনকারীরা। সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবি তোলা হয়। জুনিয়র ডাক্তারেরা কাজে যোগ না-দেওয়ায় হাসপাতালের পরিষেবা ব্যাহত হয়।
কলকাতা হাই কোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট— জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফেরার জন্য অনুরোধ করেছে সকলে। তাঁদের আন্দোলন যে ‘ন্যায্য’ সে কথা মেনে নিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনিও আন্দোলনকারীদের দ্রুত কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। তবে আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট জানান, তাঁদের দাবি মানা না পর্যন্ত কাজে ফিরবেন না তাঁরা। স্বাস্থ্য ভবনের সঙ্গে একাধিক বৈঠকেও সুরাহা মেলেনি। পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে ওঠে।
এই আবহেই শুক্রবার জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট জানায়, ৩১ অগস্ট থেকে ‘টেলিমেডিসিন’ পরিষেবা দেবেন আন্দোলনকারীরা। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টো পর্যন্ত এই পরিষেবা পাওয়া যাবে। এই পরিষেবার জন্য কয়েকটি ফোন নম্বরও দেওয়া হয়। বলা হয়, সেই সব নম্বরে হোয়াট্সঅ্যাপে যোগাযোগ করলে পরিষেবা দেবেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা।
উল্লেখ্য, আন্দোলনকারীরা নির্যাতন এবং খুনের অভিযোগের বিচারের পাশাপাশি, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করার দাবি তুলেছিলেন। পাশাপাশি, কলকাতার পুলিশ কমিশনারেরও ইস্তফাও দাবি করেন। সব ক’টি দাবি মেনে না-নেওয়া পর্যন্ত তাঁদের এই আন্দোলন চলবে বলেই জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তবে আন্দোলনের মাঝেই তাঁদের ‘টেলিমেডিসিন’ পরিষেবা চালু সাড়া ফেলেছে বলে দাবি অনেকের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy