রোগী পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা আরজি কর হাসপাতালে। —নিজস্ব চিত্র।
মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষোভের তেজ ক্রমেই বাড়ছে আরজি কর হাসপাতালে। চিকিৎসককে হাসপাতাল চত্বরেই ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে। তার প্রতিবাদে শনিবার সকাল থেকেই হাসপাতাল চত্বরে অবস্থানে বসেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সিনিয়র চিকিৎসকরা রোগী পরিষেবা চালিয়ে গেলেও, জুনিয়র চিকিৎসকদের কার্যত দেখা মিলল না আরজি কর হাসপাতালের বক্ষ রোগের বহির্বিভাগে।
হাসপাতালের এক নিরাপত্তাকর্মী জানিয়েছেন, মৃত ওই মহিলা চিকিৎসক হাসপাতালের বক্ষ রোগর বহির্বিভাগে ডিউটিতে ছিলেন। শনিবার সেই বহির্বিভাগে রোগীর সংখ্যা তুলনায় অনেক কম। হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসরাই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন যাতে রোগী পরিষেবা বিঘ্নিত না হয়। কিন্তু বাস্তব চিত্র বলছে, এই পরিস্থিতিতে পুরোটা সামাল দিয়ে উঠতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের।
আরজি কর হাসপাতালের বহির্বিভাগে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন ছন্দাদেবী দাস। প্রৌঢ়ের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা, তার আগে হাসপাতালের বর্হিবিভাগে শারীরিক পরীক্ষা করাতে এসেছিলেন। সকাল থেকে লাইনে দিয়েছেন। হুইল চেয়ারে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করছেন। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ ধরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে চিকিৎসকের দেখা পাওয়ার জন্য। তাঁর পরিবারের লোকেরা জানাচ্ছেন, হাসপাতাল থেকে তাঁদের বলা হয়েছে, চিকিৎসকের জন্য কতক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে কোনও ঠিক নেই।
ছন্দা দাস একা নন, তাঁর মতো এমন আরও অনেকেই রয়েছেন হাসপাতালের বক্ষ রোগের বহির্বিভাগে। হাবরা থেকে আরজি কর হাসপাতালে গিয়েছেন রূপালি দত্তা। তিন দিন ধরে আসছেন, ছ’হাজার টাকা খরচ করে। তাঁরও আজ হাসপাতালে ভর্তির আগে শারীরিক পরীক্ষার কথা ছিল বহির্বিভাগে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে সমস্যায় পড়তে হয়েছে তাঁকেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy