প্রশ্নে চারার ভবিষ্যৎ। নিজস্ব চিত্র
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করতে রাস্তার ধারে সার দিয়ে বসানো হয়েছে আম, জামরুলের চারা। উদ্যোক্তাদের দাবি, গাছগুলি বড় হলে বদলে যাবে রাস্তার চেহারা। কিন্তু প্রশ্ন, গাছগুলি কি আদৌ বড় হবে? স্থানীয়েরা বলছেন, আগে একাধিক বার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির নামে চারা বসানো হয়েছে। শেষে বাঁচেনি।
দিন কয়েক আগে বারুইপুর পুলিশ জেলার তরফে পদ্মপুকুর সংলগ্ন বাইপাসে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এর সঙ্গেই হয়েছিল বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। রাস্তার ধারে চারা লাগান পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্তারাও। চারা লাগান তাঁরাও। প্রায় ২০টি আম, লেবু, জামরুল, পেয়ারার চারা বসানো হয়।
স্থানীয়দের দাবি, এর আগেও একাধিক বার বাইপাস ও সংলগ্ন এলাকায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করতে চারা বসানো হয়েছিল। অভিযোগ, এর পরে আর কেউ চারাগুলির দিকে ঘুরেও তাকান না। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেগুলির অধিকাংশই বাঁচেনি। এ বারেও চারাগুলির একই পরিণতি হতে চলেছে বলেই আশঙ্কা তাঁদের। এক দোকানদারের কথায়, ‘‘ধুমধাম করে চারা বসানো হয়। তার পরে আর কেউ খোঁজ রাখেন না। এর আগেও একাধিক বার বাইপাসের ধারে চারা বসানো হয়েছে। কিন্তু সে সবই নষ্ট হয়েছে।’’
মূলত পরিচর্যার অভাবে অথবা নিয়ন্ত্রণহীন গাড়ির চাকায় চাপা পড়ে নষ্ট হয় চারা। ঘেরা জায়গায় চারা না পোঁতায় রাতের অন্ধকারে সেগুলির উপরেই গাড়ি দাঁড় করান অনেক চালক। এ ভাবেও বহু গাছ নষ্ট হয়ে যায়। এই কর্মসূচির উদ্যোক্তা বারুইপুর ট্র্যাফিক গার্ডের দাবি, এ বার চারা বাঁচাতে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ট্র্যাফিক গার্ডের এক আধিকারিক জানান, আপাতত চারাগুলি বাঁশ এবং তারের জাল দিয়ে ঘেরা হয়েছে। রাস্তার ধারে যেখানে গাছ বসানো হয়েছে, সেই এলাকাও ট্র্যাফিকের তরফে ঘিরে রাখা হয়েছে। কোনও গাড়ি বা প্রাণী যাতে চারা নষ্ট করতে ওখানে ঢুকে না পড়ে, তা খেয়াল রাখা হবে।
চারা পরিচর্যার দায়িত্ব একটি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার ব্যাপারেও কথা এগিয়েছে বলে জানান ওই আধিকারিক। তাঁর কথায়, ‘‘এ বার চারাগুলি বাঁচাতে বদ্ধপরিকর। গাছ বড় হলে ওই জায়গার ছবিটাই বদলে যাবে। আপাতত স্থানীয়দের দিয়ে পরিচর্যার ব্যবস্থা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy