ভাঙা হবে টালা সেতু। ফাইল চিত্র
টালা সেতু ভাঙার প্রস্তুতি শুরু করল রাজ্য সরকার। এই লক্ষ্যে সম্প্রতি পূর্ত দফতর দরপত্র আহ্বান করেছে। এই প্রক্রিয়ায় যোগ্য সংস্থাকে দিয়ে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে সেতু ভাঙার কাজ শুরু করাতে হবে। কিন্তু রাজ্য সরকারের লক্ষ্য, এক বছরের মধ্যে নতুন টালা সেতু তৈরি করা। কিন্তু এক বছরের সময়সীমা মানা সম্ভব কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনের অন্দরে।
দ্রুত দরপত্রের প্রক্রিয়ায় যোগ বলা হয়েছে ইচ্ছুক এবং অভিজ্ঞ সংস্থাগুলিকে। টালা সেতু সংলগ্ন এলাকার বসতি, পুরসভার জলের লাইন, বিদ্যুৎ সংযোগ এবং রেলের একাধিক পরিকাঠামো বাঁচিয়ে ভাঙার কাজ করতে হবে নির্বাচিত সংস্থাকে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি ভাঙা শুরু হলে কবে তা শেষ হবে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না প্রশাসনের অনেকেই। তবে এক পূর্তকর্তার কথায়, ‘‘সব দিক বাঁচিয়ে যত দ্রুত সম্ভব ভাঙার কাজ শেষ করতে হবে।’’
পূর্ত দফতর সূত্রের খবর, মাঝেরহাট সেতুটি লম্বায় কমবেশি ৪০০ মিটার এবং চওড়ায় প্রায় ১০ মিটার ছিল। সেতুর পূর্ত দফতরের অধীনে থাকা অংশ ভাঙতে এক মাসের কিছু বেশি সময় লেগেছিল। ওই সেতুর যে অংশটি রেলের আওতাধীন ছিল, তা পূর্ত দফতরের ভাঙতে প্রায় দু’মাস সময় লেগেছে। কারণ, রেলের অনুমতি পেতে বেশ কিছুটা দেরি হয়েছিল। অন্য দিকে, টালা সেতু লম্বায় মাঝেরহাট সেতুর প্রায় দ্বিগুণ। চওড়ায় ১৮.৫ মিটার। তা ছাড়া মাঝেরহাট সেতুর মতো টালা সেতুও রেলওয়ে ওভারব্রিজ (আরওবি)। অর্থাৎ এর এক্তিরায় রেল এবং রাজ্যের হাতে। প্রশ্ন উঠছে, মাঝেরহাট সেতু ভাঙতে যেখানে কমবেশি তিন মাস লাগল, সেখানে টালা সেতু তার থেকে কম সময়ে কী করে ভাঙা সম্ভব?
তবে মাঝেরহাট সেতুর সঙ্গে টালা সেতুকে মিলিয়ে দেখতে রাজি নন প্রশাসনের অনেকেই। তাঁদের যুক্তি, ভাঙা এবং নির্মাণ নকশা—উভয় ক্ষেত্রে রেলের অনুমোদন পেতে অনেকটা সময় লেগেছিল। এ ক্ষেত্রে তা হওয়ার কথা নয়। পূর্ত দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘রেল তাদের অংশ ভাঙবে। নিজেদের অংশ ভাঙবে পূর্ত দফতর। ফলে অনুমতি সংক্রান্ত জটিলতায় সময় নষ্ট হবে না। এটা মাঝেরহাট সেতুর পরিস্থিতির সঙ্গে এক করা উচিত হবে না। তা ছাড়া আগামী বছরের প্রথম মাস দু’য়েকের মধ্যেও মাঝেরহাট সেতু তৈরি শেষ হলে তা-ও রেকর্ড হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy