Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus

সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই খুলছে গণ শৌচালয়

কলকাতা পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সব দিক বিবেচনা করেই অধিকাংশ গণ শৌচালয় এখনও বন্ধ রাখা হয়েছে।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

কৌশিক ঘোষ
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০২০ ০৩:১৬
Share: Save:

‘আনলক-১’ চালু হতেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন অসংখ্য মানুষ। যার ফলে প্রয়োজন বাড়ছে গণ শৌচালয়ের। লকডাউনে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পরে খুলতে শুরু করেছে শহরের কিছু গণ শৌচালয়। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সেখানে যাওয়া কি আদৌ নিরাপদ?

এই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখেই গণ শৌচালয়গুলি জীবাণুমুক্ত করার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। তবু মানুষের মন থেকে ভয়টা যাচ্ছে না। সারা বছর বিভিন্ন গণ শৌচালয় যে ভয়াবহ রকমের অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় থাকে, সে কথা মাথায় রাখলে ক’জন সেই শৌচালয় ব্যবহার করবেন, তা নিয়ে সংশয় থাকছেই।

কলকাতা পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সব দিক বিবেচনা করেই অধিকাংশ গণ শৌচালয় এখনও বন্ধ রাখা হয়েছে। যেগুলি চালু করা হয়েছে, সেগুলি নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের বক্তব্য, প্রতি বার এক জন করে শৌচালয় ব্যবহার করার পরে তা জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। নইলে সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যাবে। তাঁর মতে, গণ শৌচালয় পরিষ্কার রাখার ব্যাপারে নাগরিকদেরও সচেতন হতে হবে।

পুরসভার বস্তি দফতরের প্রাক্তন মেয়র পারিষদ তথা বর্তমান প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য স্বপন সমাদ্দার বলেন, “স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা মেনেই গণ শৌচালয়গুলিকে জীবাণুমুক্ত করার কাজ চলছে। এমনকি, বন্ধ থাকা শৌচালয় থেকেও যাতে সংক্রমণ না ছড়ায়, সেই ব্যাপারেও সতর্ক আমরা। কেউ যাতে মাস্ক ছাড়া গণ শৌচালয়ে না ঢোকেন, তার জন্য নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।”

পুরসভার বস্তি দফতরের আধিকারিকেরা জানান, পুর সমীক্ষা অনুযায়ী, কলকাতা শহরে আপাতত ৩৭১টি গণশৌচালয় আছে। এ ছাড়া, কেএমডিএ এবং রাজ্য পূর্ত দফতরের অধীনেও কয়েকটি গণশৌচালয় রয়েছে। শর্তসাপেক্ষে বেসরকারি সংস্থা অথবা সমবায়ের মাধ্যমে এগুলি চালানো হয়। এই সমস্ত শৌচালয় জীবাণুমুক্ত করার দায়িত্ব পুরসভার।সমস্যা কোথায়?

অনেক ক্ষেত্রে শৌচালয়ে কর্মীরা ছাড়াও সংস্থার তরফে এক বা একাধিক লোক থাকেন। বহিরাগতদের জন্য অধিকাংশ শৌচালয় এখনও বন্ধ থাকলেও তাঁরা ওই শৌচালয় ব্যবহার করেন। ফলে শৌচালয় থেকে সংক্রমণের ঝুঁকিটা সব সময়েই থেকে যায়। স্টেশন, বাজার বা বস্তি এলাকার গণ শৌচালয় নিয়েও বাড়ছে চিন্তা।

স্বপনবাবু জানান, জীবাণুমুক্ত করার পাশাপাশি ব্যবহারকারীরা যাতে শৌচালয় পরিষ্কার রাখার ব্যাপারে সচেতন হন, তার জন্য প্রচার চালানো হচ্ছে। এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলরদের এই কাজে যুক্ত করা হয়েছে। যাঁরা বিভিন্ন শৌচালয়ের আশপাশে থাকেন, তাঁদের মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ার বিতরণ করা হয়েছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy