Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Professors

ফেব্রুয়ারি মাসেও আসেনি বেতন, ক্ষোভ ৫০টি কলেজে

এই দেরি প্রসঙ্গে বিকাশ ভবনের কিছু আধিকারিকের বক্তব্য, সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট সময়ে বেতনের জন্য যাবতীয় তথ্য জমা দেননি।

— ছবি সংগৃহীত

— ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৬:০৬
Share: Save:

রাজ্যের বেশ কিছু কলেজের শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা এখনও জানুয়ারি মাসের বেতন পাননি। বেতন হয়নি এমন কলেজের সংখ্যা প্রায় ৫০। ২০১১ সালে তৃণমূল সরকারে আসার পরে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের মতোই সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পয়লা তারিখেই বেতন হবে বলা হয়েছিল। সেই মতো সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজের কয়েক হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মী মাসের প্রথম দিনেই বেতন পেয়ে আসছিলেন। কিন্তু অভিযোগ, ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেও প্রায় ৫০টি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা বেতন পাননি।

এই দেরি প্রসঙ্গে বিকাশ ভবনের কিছু আধিকারিকের বক্তব্য, সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট সময়ে বেতনের জন্য যাবতীয় তথ্য জমা দেননি। বেতন না-হওয়া একটি কলেজের অধ্যক্ষের যদিও অভিযোগ, বিকাশ ভবনের আধিকারিকদের গয়ংগচ্ছ ভাবের জন্যই এই অবস্থা হয়েছে।

ওয়েবকুটার সহ-সভাপতি প্রবোধকুমার মিশ্রের মতে, উচ্চশিক্ষা দফতরের এক শ্রেণির আধিকারিকদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা ও অবিবেচনার জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রশিক্ষণ কলেজগুলিতে তিন মাসের বেতন অনুমোদন করা হয়েছে। কোথাও আবার জানুয়ারি মাসের বেতন বরাদ্দই করা হয়নি। চিত্তরঞ্জন কলেজের অধ্যক্ষ শ্যামলেন্দু চট্টোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘‘ঠিক সময়ে সব রকম ক্লেম জমা দেওয়া হয়েছে। তবু বেতন হয়নি।’’ তাঁর মতে, অধ্যক্ষ বা শিক্ষকদের এই দেরিতে অসুবিধা না হলেও শিক্ষাকর্মীরা যথেষ্ট সমস্যায় পড়েছেন।

আগে কলেজের তহবিল থেকে সাহায্যের একটি বিষয় ছিল। কিন্তু এখন নিয়ম অন্য। এখন সরকার নিয়ন্ত্রিত হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (এইচআরএমএস) মাধ্যমে সব হয়।

বিকাশ ভবনের পে প্যাকেট সেকশনে তিন মাস করে বেতনের জন্য কলেজ অধ্যক্ষদের আবেদন করতে হয়। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারির মধ্যে জানুয়ারি থেকে মার্চের বেতনের জন্য আবেদনের সময়সীমা ছিল। অনেক কলেজ আবার ডিসেম্বরেই এই আবেদন করে দিয়েছে বলে দাবি। বিকাশ ভবনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সরকারি ভাবে জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যেই সেই আবেদন অনুমোদন করে কলেজের কাছে পাঠিয়ে দেয়। সেই অনুমোদন-সহ বেতনের আবেদন কলেজগুলি কলকাতার পে অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস এবং জেলায় ট্রেজ়ারিতে পাঠিয়ে দেয়। সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কগুলি এর পরে এইচআরএমএস-এর মাধ্যমে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের ব্যক্তিগত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বেতন পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে প্রায় ৫০টি কলেজের শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বেতন ঢোকেনি।

অন্য বিষয়গুলি:

Salary Professors
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy