বিধাননগর পুরসভা। —ফাইল চিত্র।
তৃণমূলের দলীয় কোন্দল বিধাননগর পুরসভায় নতুন কিছু নয়।
এ বার বোর্ডের বৈঠকে পুরপ্রতিনিধিদের তোপের মুখে পড়তে হল বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্তকে। তাঁর বিরুদ্ধে মন্ত্রগুপ্তির শপথ ভঙ্গের অভিযোগ আনলেন বেশ কয়েক জন পুরপ্রতিনিধি। এমনই জানা গিয়েছে বিধাননগর পুরসভা সূত্রে।
লোকসভা নির্বাচনে সামগ্রিক ভাবে বিধাননগর পুর এলাকায় তৃণমূল হেরে গিয়েছে। মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী, ডেপুটি মেয়র অনিতা মণ্ডল, চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত-সহ একাধিক পুরকর্তার ওয়ার্ডে বিজেপির কাছে তৃণমূল পরাজিত হয়। তার পরে পুর কর্তৃপক্ষের একাংশের বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমে সব্যসাচী বিবৃতি দেন বলে এ দিন বোর্ডের বৈঠকে অভিযোগ করা হয় বলে খবর।
সূত্রের খবর, এ নিয়ে বোর্ডের বৈঠকে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি প্রসেনজিৎ নাগ প্রথমে সব্যসাচীর সমালোচনা করেন। সব্যসাচী মেয়রের বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে পুরসভার অসম্মান করেছেন এবং পুরপ্রতিনিধি হিসাবে নেওয়া মন্ত্রগুপ্তির শপথ ভেঙেছেন বলে অভিযোগ করেন প্রসেনজিৎ। তাঁর সেই অভিযোগকে মেয়র পারিষদ দেবরাজ চক্রবর্তী-সহ রাজারহাট ও বিধাননগরের একাধিক পুরপ্রতিনিধি সমর্থন করেন বলেই সূত্রের খবর।
এ নিয়ে জানতে চাওয়া হলে প্রসেনজিৎ বলেন, ‘‘হাউসের কথা বাইরে বলব না।’’ সব্যসাচী বলেন, ‘‘বোর্ডের বৈঠকের আলোচ্য বিষয় বাইরে বলা যায় না।’’ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাব দিতে তিনি বোর্ডের কাছে সময় চেয়েছেন বলে খবর। এ দিন দেবরাজ চক্রবর্তীকে ফোন এবং মেসেজ করা সত্ত্বেও তিনি জবাব দেননি।
উল্লেখ্য, রাজারহাট এলাকার একাধিক বেআইনি নির্মাণ নিয়ে অতীতে প্রকাশ্যে সরব হয়েছেন সব্যসাচী। এমনকি, এ নিয়ে তিনি বার বার পুরসভার ভূমিকার সমালোচনা করেছেন। সে সব নিয়ে সব্যসাচীর বিরোধীরা তাঁর বিরুদ্ধে অনেক দিন ধরেই সলতে পাকাচ্ছিলেন বলে খবর। অতীতে মেয়র থাকার সময়েও এক বার তাঁর বিরুদ্ধে কালীঘাটে অনাস্থা প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল।
দু’বারের বিধায়ক তথা বিধাননগরের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচীর নিরিখে রাজনীতিতেই প্রসেনজিৎ নবীন। কেন তিনি আচমকা বোর্ডের বৈঠকে সব্যসাচীর বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনলেন এবং দেবরাজ-সহ অনেকে সেই প্রস্তাব সমর্থন করলেন, তা নিয়েই এখন চলছে জল্পনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy