ফাইল চিত্র।
ভিতর আর বাইরের মাঝে উঁচু পাঁচিল। দেবী আসছেন দু’জায়গাতেই। তবে অন্দরের প্রতিমা গড়ছেন কুমোরটুলির শিল্পী। বাইরের প্রতিমার কারিগর অন্দরেরই এক আবাসিক বন্দি।
দমদম সেন্ট্রাল জেলে দু’টি পুজোর আয়োজন হয়েছে। ভিতরের পুজোর আয়োজক বন্দিরা। অন্যটির আয়োজন করছেন জেলের কর্মী-আধিকারিকেরা। বাইরের সেই পুজোরই প্রতিমা গড়েছেন দমদম জেলের আবাসিক দেবাশিস নাথ। উত্তর শহরতলির বাসিন্দা দেবাশিস বছর সাতেক ধরে সেখানে রয়েছেন। জেল কর্তৃপক্ষ জানান, গত কয়েক বছর ধরে তার শিল্পীসত্ত্বার প্রকাশ ঘটেছে। সেই কারণে এ বার অনেক আগেই স্থির হয় যে দমদম জেলের কর্মী-আধিকারিকদের আয়োজিত পুজোয় থার্মোকল দিয়ে প্রতিমা করবেন দেবাশিস। তাঁর সহযোগী হিসাবে সঙ্গে রয়েছেন আরও তিন আবাসিক।
দমদম জেলের মতোই দু’টি করে পুজো হবে প্রেসিডেন্সি এবং বারুইপুর জেলে। তবে কর্মী-আধিকারিক এবং বন্দিদের আয়োজিত ওই চারটি পুজোর প্রতিমা এসেছে বাইরে থেকে। নভেম্বরে বারুইপুরে জেল স্থানান্তরের আগে গত বছর আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে দু’টি পুজো হয়েছিল। সে বার ভিতরের প্রতিমা গড়েছিলেন এক বন্দি চন্দন চন্দ। এ বার অবশ্য সবই বাইরে থেকে আনা হচ্ছে।
তিন জেলেই উৎসবের পাশাপাশি পুজোর দিনে থাকছে খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। এ ক্ষেত্রে বাঙালি এবং ছিমছাম খাবারেই আগ্রহী প্রেসিডেন্সির বন্দিদের। সেখানে আমিষ পদে থাকবে মুরগি, পাঁঠার মাংস, মাছ, ডিম। নিরামিষ পদে থাকছে মুগ ডাল, খিচুড়ি, লাবড়া, আলুভাজা, চাটনি ও পাঁপড়। জলখাবারে থাকছে কচুরি, ঘুগনি, কলা, পাউরুটি। বারুইপুর জেলে থাকছে বাঁধাকপি, কাশ্মীরি আলুর দম, আলুপটল, আলুপোস্ত-সহ নানা পদ। আবার মুরগি, পাঁঠার মাংস, ডিম-তরকাও থাকছে।
দমদম জেলেও থাকছে বিভিন্ন মুখরোচক পদ। তবে এই জেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অভিনবত্ব আনার চেষ্টা করছেন কর্তৃপক্ষ। জেলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নবীনদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এক দিন, বিচারাধীন বন্দিরা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। অন্য দু’দিন মহিলা এবং সাজাপ্রাপ্তেরা অনুষ্ঠান করবেন। আরও একটি দিন সকলে মিলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। তেমনই পরিকল্পনা জেল কর্তৃপক্ষের। বারুইপুর জেল এবং প্রেসিডেন্সিতেও আয়োজন করা হচ্ছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy