কালীঘাটের মন্দিরে পুজো দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: পিটিআই।
সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেও চিত্রটা বদলাল না। দর্শনার্থীরা লাইন করে মন্দিরের দিকে যেতে থাকলেও কার্যত উধাও ধাক্কাধাক্কির চেনা ছবিটা। পুলিশকর্মীরাও সুষ্ঠু ভাবেই ভিড় নিয়ন্ত্রণ করলেন। আর সকালের দিকে যেটুকু ভিড় দেখা গিয়েছিল, বেলা গড়াতে তা-ও কমল। সেবায়েতরাও পা বাড়ালেন বাড়ির দিকে।
বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনের এমনই ছবি দেখা গেল কালীঘাট মন্দিরে। আর পাঁচটা রবিবারে পুজো দিতে যেমন ভিড় হয়, তার থেকে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেলেও তা আগেকার নববর্ষগুলির থেকে কম বলেই দাবি করছেন সেবায়েতরা। ব্যবসায়ী ও সেবায়েতদের একাংশের দাবি, কালীঘাট মন্দির সংলগ্ন এলাকায় স্কাইওয়াক নির্মাণ এবং সংস্কারের কাজ চলার কারণে অগোছালো অবস্থা রয়েছে। আসা-যাওয়ার রাস্তা এখনও খানা-খন্দে ভর্তি। সেই ভাঙাচোরা, সঙ্কীর্ণ পথ এড়ানোর জন্যই অনেকে মন্দিরমুখো হননি। আবার একাংশের বক্তব্য, তীব্র গরম এড়াতেও অনেকে আসেননি। বদলে বাড়ির কাছাকাছি মন্দিরে পুজো করিয়ে নিয়েছেন।
এ দিন মন্দির সংলগ্ন রাস্তার বিভিন্ন অলিগলিতে হালখাতা ও লক্ষ্মী-গণেশ পুজোর জন্য অস্থায়ী ছাউনি করে যজমানদের অপেক্ষায় ছিলেন বহু সেবায়েত। কিন্তু অনেকের কাছেই যজমানের উপস্থিতি তেমন হয়নি বলে দাবি। এক সেবায়েত বলেন, ‘‘বাংলা নতুন বছরে ধীরে ধীরে দর্শনার্থীদের আসা-যাওয়া কমছে। করোনার সময়েও কম লোক আসতেন। কিন্তু এ বছরের অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়।’’
দর্শনার্থীরা না থাকায় অনেক সেবায়েতই দুপুরের আগে মন্দির চত্বর ছেড়ে চলে যান। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ এক সেবায়েত বলেন, ‘‘আজ আর তেমন ভিড় হবে না। কিছু বাঁধাধরা যজমান ছিলেন। ফোনে অনেকেই জানিয়েছেন, রাস্তার অবস্থা খারাপ। তার উপরে গরমও খুব। তাই এলাকার পুরোহিতকে দিয়ে পুজো করিয়ে নিয়েছেন তাঁরা। সারা দিন বসে থেকে আর কোনও লাভ নেই। গরমে বাড়িতে গিয়ে বিশ্রাম নেওয়াই ভাল।’’ ওই সেবায়েতের কথায়, পয়লা বৈশাখে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মূলত দর্শনার্থীদের ভিড় হয়। দুপুরের পরে এবং বিকেলে তেমন ভাবে মানুষ আসবেন না। তাই বেলা আর একটু গড়াতে তাঁর মতো অন্য অনেক সেবায়েতই বাড়ির পথে হাঁটা দিয়েছেন।
এ দিন প্রসাদ ও ফুল ব্যবসায়ীদের চোখেমুখে হতাশার ছাপ দেখা গিয়েছে। ফুল ও প্রসাদ যা তোলা হয়েছিল, তার বড় অংশ বিক্রি না হওয়ায় তাঁরা লোকসানের মুখে পড়বেন বলেও দাবি। এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘পয়লা বৈশাখে মূলত ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা আসতেন। এখন অনলাইনের দাপটে বহু ছোট ব্যবসা বন্ধ হওয়ার পথে। ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়ছেন। আর তাই মূলত কালীঘাটের মন্দিরে এসে লক্ষ্মী-গণেশ বা হালখাতা পুজোয় আগ্রহ কমছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy