সূচনা: প্রেসিডেন্সির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া। সোমবার রাজারহাটে। ছবি: শৌভিক দে
বয়স ২০০ পেরিয়েছে। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় আগামী ২০০ বছরের ভবিষ্যৎও সুরক্ষিত করবে বলে মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার রাজারহাটে ওই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করেন তিনি।
রাজারহাটে প্রেসিডেন্সির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের দু’টি চোদ্দো তলা ভবনে চালু হতে চলেছে পাঁচটি স্কুল। বায়োটেকনোলজি, অ্যাস্ট্রোফিজিক্স, আর্থ সায়েন্সেস, পাবলিক পলিসি এবং ইনফর্মেটিক্স— এই পাঁচটি স্কুল চালু করার কথা জানান উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া। স্কুল অব ইনফর্মেটিক্সে সাইবার সিকিয়োরিটি এবং বিগ ডেটা অ্যানালিটিক্স নিয়ে পড়াশোনা হবে জেনে মুখ্যমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, পাবলিক পলিসি নিয়েও পড়াশোনার খুবই প্রয়োজন। দরকার ভাল আইএএস, আইপিএসের। সাইবার অপরাধ নিয়ে চর্চার জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের আগ্রহীরা যাতে এখানে সুযোগ পান, কর্তৃপক্ষকে সেটা দেখতে বলেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘সাইবার ক্রাইম কোনও কোনও সময় ফিজিক্যাল ক্রাইমের থেকে বড় হয়ে যাচ্ছে। এক-একটা পোস্টে অনেক বড় ঘটনা ঘটে যেতে পারে।’’ সাইবার অপরাধের বিষয়ে সেন্টার অব এক্সেলেন্স তৈরির পরামর্শও দেন তিনি। জানান, তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের অধীনে সাইবার অপরাধ নিয়ে একটি সেন্টার তৈরির উদ্যোগ চলছে।
২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্সির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাঁচ বছর পরে, এ দিন উদ্বোধন করলেন তিনিই। শিলান্যাস অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, প্রেসিডেন্সি ছাপিয়ে যাক অক্সফোর্ড, কেমব্রিজকে। এ দিনও তিনি আশা প্রকাশ করেন, প্রেসিডেন্সি বিশ্বসেরা হবে। হার্ভার্ড, কেমব্রিজ, অক্সফোর্ডের সঙ্গে এক সারিতে থাকবে প্রেসিডেন্সি, যাদবপুর। প্রেসিডেন্সির উন্নয়নে রাজ্য সরকার ৩৭০ কোটি টাকা দিয়েছে বলে জানান উপাচার্য। প্রথম পর্যায়ের ১৮৩ কোটি টাকায় দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ শেষ হয়েছে। ২০১৫ সালে প্রেসিডেন্সিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অনুদানের কথা ঘোষণা করেছিলেন।
সূচনা: প্রেসিডেন্সির দ্বিতীয় ক্যাম্পাস। ছবি: শৌভিক দে।
২০১৬ সালে এই ক্যাম্পাসের দু’টি ভবনের কাজ শুরু হয়। এত তাড়াতাড়ি ক্যাম্পাসের কাজ শেষ হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী এ দিন সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, শুধু ভাষণের ছড়াছড়ি নয়। আসল হল কাজ করে দেখানো। যাদবপুর ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কেও জমি দেওয়া হয়েছে রাজারহাটে। মমতা বলেন, ‘‘ওরাও যেন নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ক্যাম্পাস তৈরির কাজ শেষ করে।’’ দর্শকাসনে ছিলেন যাদবপুরের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। তাঁদের ক্যাম্পাসের কাজ কতটা এগিয়েছে, তাঁর কাছে তা জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। প্রেসিডেন্সি, যাদবপুর, কলকাতার শিক্ষকদের দিয়ে অন্য কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর পরিকল্পনার বিষয়টিও এ দিন উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বিষয়ে একটি কমিটি ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy