প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন। নিজস্ব চিত্র
দিনভর চলেছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। শেষ হাসি হাসল এসএফআই। দীর্ঘ নয় বছর পর প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের দখল নিল তারা। ছাত্র সংসদের সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহ-সাধারণ সম্পাদক এবং মহিলা কমনরুমের জিসিআর, কেন্দ্রীয় কমিটির পাঁচটি পদেই জয়ী হয়েছেন এসএফআই প্রার্থীরা।
দীর্ঘ আড়াই বছর পর রাজ্যে ছাত্রভোটে। টানটান উত্তেজনা ছিল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এসএফআই এবং আইসি-র মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে সারাদিন। প্রেসিডেন্সির ছাত্র সংসদ কার দখলে থাকবে, তা নিয়েও উন্মাদনা ছিল ক্যাম্পাস চত্বরে। তবে সকলেই স্বীকার করছিলেন পাল্লা ভারী বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই-এর দিকেই। গণনা শেষ হতে দেখা গেল সভাপতি পদের দাবিদার এসএফআই প্রার্থী পেয়েছেন ১০৮৫টি ভোট, আইসি পেয়েছে ৬১৩টি। সব-সভাপতি পদের দাবিদার এসএফআই প্রার্থী জন্যে ভোচ পড়েছে ৯৯৯ যেখানে আইসি প্রার্থী পেয়েছেন ৬৪০টি ভোট। আইসি প্রার্থীর তুলনায় ৬১৭ টি ভোট বেশি পেয়েছেন সাধারণ সম্পাদক পদের এসএফআই প্রার্থী। সহ সম্পাদক পদের জন্যে লড়াই করা দুই প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান ২৭৭টি। হাড্ডাবাড্ডি লড়াই হয়েছে জিএসআর পদ নিয়েও। ৪১১ টি ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন এসএফআই প্রার্থী।
এবার দু’টি আসন ছিনিয়ে নিয়ে চমক দিল এআইএসএফ। মাত্র কয়েক মাস আগে তারা প্রেসিডেন্সিতে সংগঠন গড়ে ছাত্র ভোটে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথম বার আত্মপ্রকাশেই তারা দু’টি আসনে জয়ী হয়েছে। তাতে খুশি সংগঠনের সদস্যরা।
এ দিন প্রেসিডেন্সিতে ভোট শুরু হয়েছে বেলা ১১টার পর। প্রেসিডেন্সির মূল গেট বন্ধ রাখা হয়। বাইরে থেকে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। চলছে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া। তবে অশান্তির আশঙ্কায় প্রেসিডেন্সির বাইরে রয়েছে পুলিশ বাহিনী।
আরও পড়ুন: পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছিল তাঁকে, এই গানগুলো গেয়ে মুগ্ধ করলেন থানাকে, বেরিয়ে এলেন বায়নার টাকা নিয়ে
জয় নিশ্চিত হওয়ার পরে, এসএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, “ আমরা দীর্ঘদিন ধরে বলছিলাম গণতান্ত্রিক পরিবেশে ছাত্র ভোট হলে ছাত্রছাত্রীদের প্রথম পছন্দ এএসএফআই। তবে এটাকে আমরা শুধু এসএফআই-এর জয় হিসেবে দেখছি না। তৃণমূল ও এবিভিপিকে রিজেক্ট করেছে ছাত্ররা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি আগামী দিনে রাজ্যজুড়ে ছাত্রভোট করান, সর্বত্র স্বৈরতন্ত্রী তৃণমূল বিজেপিকে রিজেক্ট করবে ছাত্রছাত্রীরা।”
জয়ের পরে শুভেচ্ছাবার্তা আসে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক সুজন চক্রবর্তীর তরফেও। তিনি টুইটারে লেখেন, ‘‘সমস্ত বাম ছাত্রদলগুলি ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করুক আগামী দিনে, এই কামনাই করি।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরি যুবকদের সন্ত্রাসের প্রশিক্ষণ পাকিস্তানেই, মানলেন মুশারফ
সম্প্রতি ছাত্রভোটের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার। তার পরেই পুরনো পদ্ধতিতেই প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভোটের জন্যে নির্ঘণ্ট প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। যাঁদের উপস্থিতি ৭৫ শতাংশের উপরে রয়েছে, তারাই এই নির্বাচনে অংশ নিতে পেরেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy