প্রতীকী ছবি।
ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’-এর প্রভাবে হাসপাতালে বিদ্যুৎ সরবরাহ যাতে ব্যাহত না হয়, তার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে রাজ্য পূর্ত দফতর। সেই প্রস্তুতির অঙ্গ হিসেবে বাড়তি জেনারেটর ভাড়া করার কথা বলা হয়েছে, যাতে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে এই বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে সেই সরবরাহ অক্ষুণ্ণ রাখা যায়। শম্ভুনাথ পণ্ডিত ও এসএসকেএম হাসপাতালের জন্য জেনারেটর ভাড়া নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে দফতর সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে রাজ্য সরকারের কাছে নির্দেশ এসেছে, কোনও পরিস্থিতিতেই যেন করোনার চিকিৎসা ব্যাহত না হয়। যদিও রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের বক্তব্য, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশের আগেই ইয়াস-এর ধাক্কা সামলাতে যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পূর্ত দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘হাসপাতালের বিদ্যুৎ পরিষেবা সুনিশ্চিত করার জন্যই এই পদক্ষেপ। সাউথ কলকাতা হেলথ ইলেকট্রিক্যাল ডিভিশনের অধীনে ওই বন্দোবস্ত রাখা হচ্ছে।’’
উত্তর ২৪ পরগনার একাধিক হাসপাতাল, যেমন অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, বসিরহাট জেলা হাসপাতালের ক্ষেত্রেও বিদ্যুৎ সরবরাহের বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ওই জেনারেটর ভাড়ার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন দফতরের কর্তাদের একাংশ। আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, হাসপাতালের মতো আপৎকালীন পরিষেবার ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ সরবরাহ অক্ষুণ্ণ রাখার সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে।
ইয়াসের প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রস্তুত হচ্ছে রাজ্য। বিভিন্ন দফতরের তরফে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার ক্ষেত্রে করোনা অতিমারি পরিস্থিতিও মাথায় রাখতে হচ্ছে। কারণ, রাজ্যের অনেক হাসপাতাল বর্তমানে করোনা চিকিৎসার কেন্দ্র। ফলে সাধারণ হাসপাতাল তো বটেই, করোনা চিকিৎসাকেন্দ্রেও যাতে পরিষেবা কোনও ভাবে ব্যাহত না হয়, সেটাই এখন চ্যালেঞ্জের বিষয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy