কলকাতা হাই কোর্ট। ফাইল চিত্র।
ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্ত করতে গিয়ে যাদবপুরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যদের আক্রান্ত হওয়ারহ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করল কলকাতা হাই কোর্ট।
শুক্রবার প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির বেঞ্চ ওই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের ডিসি (এসএসবি) রশিদ মুনির খানের জবাবদিহি চেয়েছে। ওই পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না, তার কৈফিয়ত তলব করেছে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ। আগামী ১৩ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
গত মঙ্গলবার যাবদপুরের নীলসঙ্ঘ এলাকায় ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্ত করতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যেরা। সে সময় পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহায়তায় এলাকা ছাড়েন মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা। হামলাকারীরা তৃণমূলের কর্মী বলেই দাবি বিজেপি-র। ভোটের পর থেকেই ওই এলাকায় ঘরছাড়া হয়েছে বেশ কিছু পরিবার। সে দিন কমিশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ঘরছাড়াদের একাংশও ছিলেন। কমিশনের রিপোর্টে উঠে আসে ওই এলাকায় ৩০টির বেশি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। বুধবার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে অন্তর্বর্তী রিপোর্ট পেশ করার সময় কমিশনের তরফে হামলার ঘটনাটিও হাই কোর্টে জানানো হয়েছিল।
শুক্রবার শুনানি-পর্বে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দলের কাছে সংশ্লিষ্ট এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিসি-র নাম জানতে চান। বেঞ্চের জানতে চায়, কেন সংশ্লিষ্ট পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে মামলা হবে না। কারণ, চলতি মাসেই রাজ্য সরকারকে হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনার তদন্তে আসা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যদের সবরকম ভাবে সহায়তা করতে হবে। যাদবপুরের ক্ষেত্রে তা হয়নি বলেই হাই কোর্টের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ।
শুক্রবার শুনানি-পর্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, শুধু যাদবপুর নয় শো-কজের নোটিস জারি করা হবে কিছু জেলার জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে। তাঁরা কেন হিংসার অভিযোগ নেয়নি তার কৈফিয়ত চাওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy