অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রামনবমীর শোভাযাত্রা যে রাস্তা দিয়ে যাবে, সেই রাস্তায় সিসি ক্যামেরা চালু রয়েছে কি না, থানাগুলির কাছে তা জানতে চাইল লালবাজার। সেইসঙ্গে শোভাযাত্রার পথে আরও কোথাও ক্যামেরার নজরদারির প্রয়োজন আছে কি না, তা-ও থানাগুলির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। লালবাজার জানিয়েছে, খুব দ্রুত এই সংক্রান্ত তথ্য জানাতে বলা হয়েছে থানাগুলিকে। এর পাশাপাশি, রামনবমী উপলক্ষে কোনও শোভাযাত্রা বেরোলে তার ভিডিয়োগ্রাফি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক পুলিশকর্তা জানান, যে পুলিশকর্মীরা রামনবমীর শোভাযাত্রার রাস্তায় ডিউটি করবেন, তাঁদের বডি ক্যামেরা ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। যাতে কোথাও কিছু ঘটলে পুরো ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি করে রাখা যায়। এর পাশাপাশি, স্পর্শকাতর এলাকাগুলি যাতে ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হয়, তা-ও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
আগামী ৬ এপ্রিল রামনবমী। সেই উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ধর্মীয় মিছিল বেরোবে। সে সব মিছিল শহরের বিভিন্ন এলাকা পরিক্রমা করবে। সে কথা মাথায় রেখেই এ বার আগে থেকে সতর্ক কলকাতা পুলিশ। কিছু দিন আগেই পার্ক সার্কাসের একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে কলকাতার নগরপাল মনোজ বর্মা জানিয়েছিলেন, তাঁরা রামনবমী নিয়ে একাধিক বৈঠক করেছেন। প্রয়োজনীয় সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান। উল্লেখ্য, রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের একাধিক জায়গায় অতীতে গোলমালের ঘটনা ঘটেছে। কলকাতায় তা যাতে না ঘটে, তার জন্য থানাগুলিকেও সতর্ক করেছে লালবাজার।
কেন সিসি ক্যামেরার উপরে জোর দিচ্ছেন লালবাজারের কর্তারা?
সূত্রের খবর, রামনবমীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক আবহাওয়া এমনিতেই উত্তপ্ত থাকে রাজ্যে। যার জেরে বিভিন্ন জায়গায় অপ্রীতিকর ঘটনার সাক্ষী থেকেছে রাজ্য। তাই রামনবমীর শোভাযাত্রা যাতে নির্বিঘ্নে হতে পারে, তার জন্য আগে থেকেই সতর্ক হয়েছে কলকাতা পুলিশ।
পুলিশের একটি অংশ জানিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরেই শহরের বিভিন্ন ধর্মীয় স্থান কিংবা রাস্তায় জরুরি ভিত্তিতে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এখন সেগুলি কী অবস্থায় রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে থানাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন পড়লে রামনবমীর আগেই ওই সব জায়গায় নতুন করে ভাড়া করা সিসি ক্যামেরা বসানো হবে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)