Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Crime

চাকরির টোপ দিয়ে ভুয়ো মেডিক্যাল টেস্ট, আরজি করে হাতেনাতে পাকড়াও দুই প্রতারক

অভিযোগ, বছর বত্রিশের দেবাশিস কোলেকে পূর্ব রেলের চতুর্থ শ্রেণির চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দুই যুবক।

প্রতীকী চিত্র

প্রতীকী চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৯ ১৮:২১
Share: Save:

রেলে চাকরি দেওয়ার টোপ দিয়ে, চাকরি প্রার্থীর ভুয়ো মেডিক্যাল টেস্ট করাতে গিয়ে হাসপাতাল চত্বরেই হাতেনাতে ধরা পড়ল দুই প্রতারক। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হল জাল নিয়োগপত্র, পূর্ব রেলের ছাপ মারা ভুয়ো নথিপত্রও।

অভিযোগ, বছর বত্রিশের দেবাশিস কোলেকে পূর্ব রেলের চতুর্থ শ্রেণির চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দুই যুবক। তাদের এক জন নিজেকে পরিচয় দিয়েছিল সুবর্ণ নামে। বলেছিল সে, চন্দননগরের বাসিন্দা। সিঙ্গুরের বাসিন্দা দেবাশিসের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল, চাকরির বিনিময়ে তিনি সুবর্ণকে ২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা দেবেন। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, সেই চুক্তি অনুযায়ী বিভিন্ন দফায় গত কয়েক মাসে ওই টাকা সুবর্ণর হাতে তুলে দেন দেবাশিস।

গোটা প্রক্রিয়ার শেষ ধাপ হিসাবে দেবাশিসকে বলা হয় যে, বৃহস্পতিবার তাঁর মেডিক্যাল টেস্ট হবে। শারীরিক পরীক্ষার জন্য আরও পাঁচ হাজার টাকাও চায় সুবর্ণ। বৃহস্পতিবার দুপুরে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে বেলা আড়াইটে নাগাদ সুবর্ণর সঙ্গে দেখা করেন দেবাশিস। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে। পুলিশের কাছে দেবাশিস জানিয়েছেন, রেলের নিজস্ব হাসপাতাল থাকতে, পূর্ব রেলের চাকরিতে আরজি করে কেন মেডিক্যাল টেস্ট হবে তা নিয়ে সুবর্ণকে প্রশ্ন করেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, সুবর্ণ তাঁকে জানিয়েছিল, আরজি করে আলাদা করে তাঁর মেডিক্যাল টেস্ট করানো হবে।

আরও পড়ুন: অভিযানে ঢিলেমি না আসে, সতর্কবার্তা সিপি-র

পুলিশকে দেবাশিস জানিয়েছেন, আরজি কর হাসপাতালে সুবর্ণর সঙ্গে ছিল অন্য এক যুবক। দীর্ঘ ক্ষণ সেখানে দেবাশিসকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। মেডিক্যাল টেস্টের কোনও ব্যবস্থা ছিল না সেখানে। অন্য দিকে সুবর্ণ এবং তার সঙ্গীর আচরণ দেখে সন্দেহ হয় দেবাশিসের। প্রতারকরা অন্য এক দিন মেডিক্যাল টেস্ট করানোর কথা বলে দেয়। কিন্তু ওই দিনই শারীরিক পরীক্ষা পর্ব শেষ করার জন্য চাপ দিতে থাকেন দেবাশিস। তখন দু’পক্ষে শুরু হয়ে যায় বচসা। তা দেখেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় আর জি কর হাসপাতালে মোতায়েন পুলিশ কর্মীরা। পরিস্থিতি দেখেই তাঁরা সন্দেহ করেন যে, গোটা ঘটনার পিছনে প্রতারণা রয়েছে। তাঁরা সুবর্ণ এবং তাঁর দুই সঙ্গীকে আটক করে টালা থানাতে খবর দেন।

টালা থানার আধিকারিকরা জেরা করতেই জানা যায়, সুবর্ণর আসল নাম বাপি মণ্ডল। চন্দননগর নয়, বাপির বাড়ি বাগুইআটির অর্জুনপুরে। তার সঙ্গী যুবকের নাম অর্ণব চক্রবর্তী। সে সোনারপুরের বাসিন্দা। ওই দু’জনকে তল্লাশি করে হদিশ মেলে পূর্ব রেলের জাল নথিপত্র। এর পরেই তাদের গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষকেও।

আরও পড়ুন: সম্পত্তিকর আদায়ে নয়া নীতি পুরসভার​

অন্য বিষয়গুলি:

Crime Fraud Kolkata Police Eastern Railway
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy