Advertisement
২৯ নভেম্বর ২০২৪

শুধু টাকার জন্যই কি তরুণ খুন, ধন্দে পুলিশ

বর্ষবরণের রাতে ১৮ বছরের পল্লবকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল দুই বন্ধু বিশাল যাদব এবং সম্রাট নস্কর। পরে আর পল্লবের খোঁজ মেলেনি।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২০ ০১:৫২
Share: Save:

সাড়ে তিন বছরের বন্ধুকে খুনে অভিযুক্ত দু’জনের ঠাঁই হয়েছে শ্রীঘরে। কিন্তু, তাদের হাবভাব দেখে তা বোঝা দায়। দমদম প্রমোদনগরের পল্লব হাজারি খুনে ধৃত দুই তরুণ রীতিমতো নাকানিচোবানি খাওয়াচ্ছে তদন্তকারী অফিসারদের। সোমবার আরও এক জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাকে জেরা করা হচ্ছে।

বর্ষবরণের রাতে ১৮ বছরের পল্লবকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল দুই বন্ধু বিশাল যাদব এবং সম্রাট নস্কর। পরে আর পল্লবের খোঁজ মেলেনি। সোমবার বিশাল ও সম্রাটকে গ্রেফতার করার পরে তারা খুনের কথা স্বীকার করে।

পুলিশ জানায়, খুনের কথা স্বীকার করলেও আর মুখ খোলানো যাচ্ছে না দু’জনের। ফলে খুনের কারণ নিয়ে তদন্তকারীদের অনুমানের উপরেই নির্ভর করতে হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ধৃতেরা জানিয়েছে, পল্লবের কাছে টাকা চেয়ে না পেয়েই তাকে খুন করেছে তারা। কিন্তু তদন্তকারীদের ধারণা, গুরুত্বপূর্ণ কিছু গোপন করছে দুই অভিযুক্ত।

পুলিশ বলছে, দু’জনকে আলাদা আলাদা জেরা করে প্রাথমিক ভাবে অনুমান, ঘটনায় কোনও মহিলার ভূমিকা বা উপস্থিতি থাকতে পারে। এমনও হতে পারে, সম্পর্কের টানাপড়েনেই এমন ঘটেছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, জেরায় ধৃতেরা বারবার একই কথা বলে যাচ্ছে। সম্ভবত তারা পরিকল্পনা করে এমন করছে। তাদের কথায় অনেকটাই পরিষ্কার যে, কাউকে আড়াল করার চেষ্টা করছে তারা। এ ক্ষেত্রে ত্রিকোণ প্রেমের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। তদন্তকারীরা বলছেন, সে ক্ষেত্রে খুনের ঘটনার ‘চিত্রনাট্য’ পুরো পাল্টে যাবে।

পুলিশের মনে হয়েছে, ধৃত দু’জন টাকা চাওয়ার বিষয়টি বানিয়ে বলছে। তাদের টানা জেরার পরে পুলিশের অনুমান, পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছে পল্লবকে। বাড়ি থেকে ডেকে আনা, ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে দেওয়া, দেহ লুকিয়ে রাখার মধ্যে বেশ কিছু পরিকল্পনা কাজ করেছে বলে ধারণা তদন্তকারী অফিসারদের।

পুলিশ সূত্রের খবর, পাশাপাশি বসিয়ে জেরা করলে একই কথা বারবার বলছে দু’জন। খুনের বিবরণও হুবহু এক। কিন্তু আলাদা জেরা করলে তারা খেই হারিয়ে ফেলছে। যদিও খুনের উদ্দেশ্য নিয়ে দু’জন এখনও পর্যন্ত এক বারও তাদের বয়ান বদলায়নি।

অফিসারেরা জানতে পেরেছেন, প্রায় চার বছর ধরে প্রমোদনগরের মাঠকলে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিল বিশাল ও সম্রাট। বিশাল আদতে বিহারের বাসিন্দা। সম্রাটের বাড়ি নদিয়ার নাকাশিপাড়ায়। পল্লব এবং ওই দু’জন ঠিকাদারের অধীনে কাজ করত। অনেক সময়ে তিন জনে একই সঙ্গে কাজ করত। যা থেকে তাদের বন্ধুত্ব গাঢ় হয়। এলাকার বাসিন্দাদের থেকে পুলিশ আরও জেনেছে, বিশাল ও সম্রাটকে নিয়ে একাধিক অভিযোগ রয়েছে তাঁদের। তবে বিষয়টি পুলিশে জানানো হয়নি আগে।

অন্য বিষয়গুলি:

Crime Kolkata Police Murder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy