প্রতীকী ছবি।
অভিযুক্তকে ধরতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হল পুলিশ। লাঠি, রড, ইট ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে দুষ্কৃতীরা আক্রমণ চালাল পুলিশের উপরে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে হাওড়া মল্লিকফটক এলাকার পি কে ব্যানার্জি রোডে। ঘটনায় গুরুতর আহত হন এক পুলিশ অফিসার। ঘটনাস্থল থেকেই সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার রাতে হাওড়া থানার কয়েক জন সাদা পোশাকের পুলিশকর্মী রোহিত নামে এক দুষ্কৃতীর খোঁজে থানা সংলগ্ন পি কে ব্যানার্জি রোডে ঢোকেন। তাঁরা ওই দুষ্কৃতীর খোঁজে যখন তল্লাশি চালাচ্ছিলেন তখন ১৫-২০ জন দুষ্কৃতী ধারালো অস্ত্র, রড, লাঠি নিয়ে পুলিশের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দলে কর্মী কম থাকায় পুলিশ প্রথমে পিছু হটে থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে প্রথমে একটি টহলদারি ভ্যান পৌঁছয়। পরে আরও বাহিনী আসে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, পুলিশ দুষ্কৃতীদের তাড়া করলে তাদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়া শুরু হয়। পুলিশ পাল্টা লাঠি চালাতে শুরু করলে দুষ্কৃতীরা পিছিয়ে গিয়ে পুলিশকে ফের ইট ছুড়তে থাকে। তখনই ইটের ঘায়ে সুবীর গুহ মজুমদার নামে এক সাব ইনস্পেক্টরের মাথা ফেটে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গভীর রাত পর্যন্ত পুলিশ ও দুষ্কৃতীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলে। সাত জনকে ধরা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাতে ঝিলপাড় এলাকায় গৌতম আগরওয়াল ওরফে গুড্ডু ও সুদীপ সাহানি নামে দুই দুষ্কৃতীর মধ্যে মদ খাওয়া নিয়ে গোলমাল হয়। গুড্ডুর বাড়ি বনবিহারী বসু রোডে এবং সুদীপের বাড়ি হাট লেনে। অভিযোগ, গুড্ডু সুদীপকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়।
এ দিকে ওই রাতেই অন্য মামলায় অভিযুক্ত এক দুষ্কৃতীকে ধরতে এলাকায় ঢোকে পুলিশ। ধৃত গুড্ডুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, এলাকায় পুলিশ দেখে তারা ভেবে নিয়েছিল তাদেরকে ধরতেই এসেছে। এ জন্যই বেপরোয়া হয়ে তারা পুলিশকে আক্রমণ করে বসে।
এলাকায় উত্তেজনা থাকায় মঙ্গলবারও ঘটনাস্থলে পুলিশ বাহিনী টহল দিয়েছে। পুলিশ বাকি দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে তল্লাশি শুরু করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy