ফাইল চিত্র।
তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা তাদেরও। তাই সুস্থ রাখতে কারও কারও প্রশিক্ষণের সময় কমানো হয়েছে। খাওয়ানো হচ্ছে গ্লুকোজ়-জল, ওআরএস। বদলেছে খাবারের মেনু, এমনকি, ডিউটির সময়ও। গরমে অসুস্থদের জন্য তৈরি হয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘর। তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষা করতে এমনই সব ব্যবস্থা করা হয়েছে কলকাতা পুলিশের ঘোড়সওয়ার বাহিনীর ঘোড়া থেকে শুরু করে পুলিশ ট্রেনিং স্কুলের কুকুরদের জন্য। এমনকি, তাদের ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য নিয়োগ করা হয়েছে পশু চিকিৎসকদেরও।
এস এন ব্যানার্জি রোডে কলকাতা পুরসভার সদর দফতরের উল্টো দিকে, কলকাতা মাউন্টেড পুলিশের আস্তাবলে রয়েছে ৪২টি ঘোড়া। এ ছাড়াও, আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সে রয়েছে ২৭টি ঘোড়া। পুলিশ সূত্রের খবর, গরমে ঘোড়াদের সুস্থ রাখতে জলের সঙ্গে গ্লুকোজ় বা ওআরএস মিশিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে। দুপুরে স্নান করানো হচ্ছে প্রতিটি ঘোড়াকে। কলকাতা মাউন্টেড পুলিশের পশু চিকিৎসক সুরজিৎ বসু বলেন, ‘‘গরমে ঘোড়াদের সুস্থ রাখতে প্রোটিন জাতীয় খাবার তিসির বদলে কাঁচা ছোলা ও ঘাস বেশি খাওয়ানো হচ্ছে।’’
শুধু খাবারের মেনুতেই নয়, পরিবর্তন হয়েছে দৈনিক প্রশিক্ষণের সময়েও। ঘোড়সওয়ার বাহিনীর প্রশিক্ষণের সময় কমানো হয়েছে। দুপুরে ময়দানে ডিউটি যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা হচ্ছে। সুরজিৎ জানান, অসুস্থ হয়ে পড়ায় ইতিমধ্যেই কয়েকটি ঘোড়াকে স্যালাইন দিতে হয়েছে। মাউন্টেড পুলিশের ইনস্পেক্টর অভ্র চট্টোপাধ্যায়ের উদ্বেগ, ‘‘সবে গরম শুরু হল। মে, জুন পুরোটাই বাকি। মে মাসের শেষে দু’দিন ইডেনে আইপিএলের ম্যাচও রয়েছে। তখন ঘোড়সওয়ার বাহিনীদের ময়দানে ডিউটি করতে হবে। সেই সময়ে কেমন গরম থাকবে, সেটা চিন্তার বিষয়।’’ আস্তাবলের বৈদ্যুতিক ব্যবস্থারও মেরামতি করা হয়েছে। অসুস্থ ঘোড়াদের জন্য শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে চারটি ঘোড়া থাকতে পারে।
ঘোড়াদের পাশাপাশি গরমের সঙ্গে লড়তে দু’বেলা স্নান করানো হচ্ছে পুলিশের সারমেয় বাহিনীকেও। দুপুরে তাদের পাতে পড়ছে টক দই। পুলিশের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘সাধারণত কুকুরদের সকালে শুকনো খাবার ও রাতে মাংস দেওয়া হয়। কিন্তু যে সমস্ত কুকুরের শরীরে চর্বি বেশি, তাদের এখন দু’বেলাই শুকনো খাবার দেওয়া হচ্ছে।’’ পশু চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, গরমে কুকুরের শরীরে চুলকানি হওয়া স্বাভাবিক। এর জন্য নির্দিষ্ট জায়গায় লোম কেটে সেখানে মলম দেওয়া হয়।
এ ছাড়া, ঘটনাস্থলে পুলিশ কুকুরকে যেতে হলে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এক পুলিশ আধিকারিকের কথায়, ‘‘আইসব্যাগ অবশ্যই নিতে হবে। সঙ্গে তোয়ালে রাখতে হবে। অসুস্থ হলে ভিজে তোয়ালে দিয়ে কুকুরের শরীর মোছাতে বলা হয়েছে। সান স্ট্রোক থেকে বাঁচতে মাথায় আইসব্যাগ বোলাতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy