—প্রতীকী চিত্র।
ট্রেনে পর পর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বিগ্ন রেল। কালীপুজো ও দীপাবলির মরসুমে টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে থাকায় একাধিক বিশেষ ট্রেন চালাতে হচ্ছে। লোকাল ট্রেনেও ঠাসাঠাসি ভিড়। এই অবস্থায় লুকিয়ে আতশবাজি-সহ দাহ্য বস্তু ট্রেনে পরিবহণের আশঙ্কা এড়াতে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে রেল। তারই অঙ্গ হিসাবে হাওড়া, শিয়ালদহের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে পার্সেল ভ্যান পরীক্ষা করা ছাড়াও যাত্রীদের ব্যাগ খুলে পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে রেল সূত্রের খবর। মালদহ, আসানসোলেও একই পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে।
রেলের আইন অনুযায়ী, দাহ্য বস্তু ট্রেনে নিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ। এর জন্য ১০০০ টাকা জরিমানা বা তিন বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। যাত্রীদেরও সচেতন করা হচ্ছে। কলকাতা, উত্তর এবং দক্ষিণ শহরতলির একাধিক স্টেশনে, বিশেষত বাজি বাজার সংলগ্ন স্টেশনে শনিবার যাত্রীদের ব্যাগ পরীক্ষা করেছেন রেলরক্ষীরা।
যাত্রীদের একাংশের দরজার কাছে দাঁড়িয়ে ধূমপানের অভ্যাস রয়েছে, যা রেলের আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অনেকেই জ্বলন্ত সিগারেটের টুকরো বেসিন লাগোয়া ডাস্টবিনে ফেলে দেন বলে অভিযোগ। ওই প্রবণতা থেকেও অগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কা থাকে। তাই দূরপাল্লার ট্রেনে টিকিট পরীক্ষক, রেলরক্ষী বাহিনীর কর্মী-সহ কোচ অ্যাটেন্ড্যান্টদেরও বিশেষ নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে। এ দিন শিয়ালদহ স্টেশনে দূরপাল্লার যাত্রীদের ব্যাগ পরীক্ষা করেন আরপিএফ ও রেলের আধিকারিকেরা। বাতানুকূল ও সাধারণ কামরায় থাকা মোবাইলের চার্জিং পয়েন্ট-সহ অন্যান্য বৈদ্যুতিক সংযোগ থেকে আগুন ছড়ানো নিয়েও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এক রেল আধিকারিক বলেন, ‘‘উৎসবের মরসুমে বহু যাত্রী রেলে সফর করছেন। সে জন্যই বাড়তি সতর্কতা ও নজরদারি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy