—প্রতীকী চিত্র।
তরুণীকে বস্তায় ভরে সেলাই করে দেওয়া হয়েছিল বস্তার মুখ। তার পর সেই বস্তা ফেলে দেওয়া হয়েছিল রিজেন্ট পার্কের খালে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে পুলিশ জানতে পারে, জীবন্ত অবস্থাতেই তাকে বস্তায় ভরে জলে ফেলা হয়েছিল। এ বার সেই মৃতদেহের পরিচয় জানতে পারল পুলিশ। বস্তাবন্দি দেহটি সরশুনার এক নাবালিকার। সে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিল বলেও জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, নাবালিকা সরশুনা এলাকার বাসিন্দা। এক যুবকের সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিল সে। তার সেই প্রেমিকের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। যুবকের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। নাবালিকার মৃত্যুর সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ রয়েছে কি না, তা-ও এখনও স্পষ্ট নয়।
কিছু দিন আগে রিজেন্ট পার্কের শান্তিনগর এলাকায় একটি খালের জলে বস্তা ভাসতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বস্তার মুখ ছিল সেলাই করা। কিন্তু সেই সেলাইয়ের কিছুটা অংশ খুলে গিয়েছিল। ভিতর থেকে বেরিয়ে এসেছিল চুল। তা দেখেই পুলিশে খবর দেন স্থানীয়েরা। পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে নাবালিকার। অর্থাৎ, তাকে বস্তাবন্দি করে জলে ফেলার সময়ে তার দেহে প্রাণ ছিল। পুলিশের অনুমান, নাবালিকা সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ছিল। আততায়ী ভেবেছিল, তাঁর মৃত্যু হয়েছে। সেই কারণেই বস্তাটি জলে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।
নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধারের সময়ে তার পরনে ছিল কমলা রঙের টি-শার্ট এবং কালো ট্রাউজ়ার। হাতে ছিল তিনটি উল্কি। তার মধ্যে দু’টি ঈগলের ছবি আঁকা। অন্য একটি উল্কিতে লেখা রয়েছে ‘মোবারক’। এটি কারও নাম, না কি এর অন্য অর্থ রয়েছে, দেখা হচ্ছে।
নাবালিকার ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, সে মাদক সেবন করেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সেই সম্ভাবনা প্রবল। তদন্তকারীদের অনুমান, অতিরিক্ত মাদক সেবন করার কারণেই হয়তো সে দিন সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েছিল নাবালিকা। তার পর তাকে বস্তায় বন্দি করা হয়। এই কাজে একাধিক ব্যক্তির যোগ থাকতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ। খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy