প্রতীকী ছবি।
বৌবাজার থানা এলাকা থেকে শিশু চুরি করে বিক্রির ঘটনায় অভিযুক্ত আগেও একই কাজ করেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, মহম্মদ ইউসুফ নামে ওই ব্যক্তি গত বছর গিরিশ পার্ক থানা এলাকা থেকেও শিশু চুরি করে বিক্রির ঘটনায় জড়িত বলে তদন্তে উঠে এসেছে।
চিত্তরঞ্জন অ্যভিনিউয়ের রাম মন্দির এলাকা থেকে তিন বছরের এক শিশুকে চুরির ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে এ বার মহম্মদ ইউসুফকে নিজেদের হেফাজতে নিল গিরিশ পার্ক থানার পুলিশ। গত মাসে বৌবাজার থানা এলাকা থেকে অন্য একটি শিশু চুরির ঘটনায় পুলিশ তাকে ঝাড়খণ্ডের কোডারমা থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে এসেছিল। এত দিন পর্যন্ত ওই ঘটনায় পুলিশি হেফাজতে ছিল সে। পুলিশি হেফাজতের শেষে ব্রাইট স্ট্রিটের বাসিন্দা ইউসুফকে শুক্রবার দুপুরে ফের ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। সেখানে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, অভিযুক্ত গিরিশ পার্কের একটি শিশু চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তাই তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার। এর পরেই বিচারক মনোদীপ দাশগুপ্ত ধৃতকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
লালবাজার সূত্রের খবর, গত ১৩ অক্টোবর ভোরে রাম মন্দিরের কাছে ফুটপাত থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় তিন বছরের একটি শিশু। ওই দিনই তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয় গিরিশ পার্ক থানায়। পুলিশ শিশু নিখোঁজের মামলা দায়ের করে তদন্তে নেমে এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখলেও কিছু উদ্ধার করতে পারেনি। গত ২৮ জানুয়ারি বৌবাজার থানা নিজেদের এলাকার একটি শিশু চুরির ঘটনায় ইউসুফকে গ্রেফতার করে। চলতি সপ্তাহে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে গিরিশ পার্ক এলাকার শিশু চুরির ঘটনা নিয়ে ধৃত বিভ্রান্তিকর কথা বলে তদন্তকারীদের। রাম মন্দির এলাকায় তার নিয়মিত যাতায়াত ছিল বলে জানতে পারে পুলিশ।
এক তদন্তকারী আধিকারিক জানান, ধৃত জেরার মুখে গিরিশ পার্ক এলাকার শিশু চুরি নিয়ে নানা তথ্য দিয়েছে। একইসঙ্গে তার সঙ্গী, গাড়ির চালক অবিনাশ ওই চুরির সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করেছে ধৃত। গিরিডির বাসিন্দা অবিনাশের নাম বৌবাজার থানার পুলিশও তদন্তে পেয়েছিল। কিন্তু পুলিশ পৌঁছনোর আগেই সে পালিয়ে যায়। তদন্তকারীদের দাবি, ওই দু’জন মিলে একাধিক শিশু চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত। মূলত কলকাতা থেকে শিশুদের চুরি করে নিয়ে গিয়ে মোটা টাকার বিনিময়ে ঝাড়খণ্ডের নিঃসন্তান দম্পতিদের কাছে বিক্রি করত তারা। ধৃতকে জেরা করে গিরিশ পার্ক থানা এখন ওই শিশুর সন্ধান পেতে চাইছে।
এ দিন আদালতে ওই মামলায় পুলিশ শিশু নিখোঁজের ধারার বদলে শিশু চুরি এবং বিক্রির ধারা যুক্ত করার আবেদন করেছিল আদালতে। আদালত পুলিশের ওই আবেদন মঞ্জুর করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy