ফাইল চিত্র।
কিছু ‘তারকা’ খসে পড়েছে! কেউ কেউ থাকলেও আগের সেই জৌলুস নেই। আবার গত কয়েক বছরে উঠে এসেছে নতুন কিছু ‘তারকা’। এ বার কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে পুজোর ভিড় সামলানোর পরিকল্পনায় এই তারকা বদলের বিষয়টিকেই পুলিশ মাথায় রাখছে বলে লালবাজারের খবর।
ইতিমধ্যেই পুজোর প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে বিভিন্ন পুজো কমিটি। সূত্রের খবর, কোভিড পরিস্থিতিতে কী ভাবে পুজোর ভিড় সামলানো হবে, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে কলকাতা পুলিশও। লালবাজারের একটি সূত্র জানাচ্ছে, পুজোর সময়ে শহরের পার্কিং জ়োনগুলি কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে, সে ব্যাপারে বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে ট্র্যাফিক গার্ডগুলির কাছে। ইতিমধ্যে তা জমাও পড়েছে। ওই সূত্রের দাবি, পুজোর ভিড় নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও নতুন কিছু পরিকল্পনা আনা হতে পারে। প্রয়োজনে গাড়ির পাশাপাশি মানুষের হাঁটার জন্যও ‘ওয়ান ওয়ে’ করা হতে পারে। রাস্তার দিক-নির্দেশক বোর্ডগুলিতে কোনও কিছু বদল করা প্রয়োজন কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রের দাবি, পুজোর দিনগুলিতে পার্কিং লটের যে ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনা চালু রয়েছে, তা বেশ কয়েক বছরের পুরনো। প্রতি বছর পুজোর আগে কাজের চাপ থাকায় নতুন ভাবে পার্কিং নিয়ে পরিকল্পনা করা যায়নি। কিন্তু এ বার যান নিয়ন্ত্রণের সে রকম চাপ না-থাকলেও পুজোর সময়ে ভিড় নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন আছে বলেই পার্কিং নিয়ে আলাদা করে ভাবতে হচ্ছে।
লালবাজারের খবর, কলকাতার বেশ কয়েকটি বড় পুজোয় গত কয়েক বছরে তেমন বেশি ভিড় হয়নি। কিন্তু সেখানে পার্কিংয়ের জায়গা বেশি। আবার গত কয়েক বছরে ভিড়ের নিরিখে ‘তারকা’ বলে চিহ্নিত হওয়া বেশ কয়েকটি পুজোর ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, পার্কিংয়ের জায়গা তুলনায় কম। পার্কিংয়ের এই ব্যবস্থাই ঢেলে সাজা হতে পারে বলে খবর। যে হেতু এ বার টালা সেতু বন্ধ, তাই পুজোর দিনে শহরে অতিরিক্ত গাড়ি ঢুকলে কী ভাবে সামাল দেওয়া হবে, তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে।
লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘‘গত কয়েক বছরে পুজোর দিনগুলিতে যানজটের সমস্যা আমাদের ভুগিয়েছে। পাশাপাশি, বেশ কিছু রাস্তায় অস্বাভাবিক ভিড় হয়েছিল। এ বার তেমন হলে কোভিড সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়তে পারে। তাই ভিড় নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এ বার নতুন করে ভাবতে হচ্ছে।’’
তবে অধিকাংশ পুজো কমিটির তরফেই জানানো হয়েছে, পুলিশ এখনও তাদের সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ করেনি। তাই পুলিশ কী ভাবছে, তা পুজো কমিটিগুলির কাছেও স্পষ্ট নয়। পুজো উদ্যোক্তাদের সংগঠন ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’-এর নেতা শাশ্বত বসু বলেন, ‘‘ভিড় নিয়ন্ত্রণ তো করতেই হবে। আমরাও নিজস্ব কোভিড-বিধি তৈরি করেছি। সব দিক বজায় রেখেই উৎসব হবে।’’ উত্তর কলকাতার একটি পুজো কমিটির কর্তা বলেন, ‘‘আমাদের অপ্রশস্ত গলির মধ্যে পুজো। তাই পুলিশের ভিড় সামলানোর পরিকল্পনা আগেভাগে জানতে পারলে উপকারই হত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy