মানুষকে সতর্ক করে দিচ্ছে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।
সপ্তাহে দু’দিন করে সম্পূর্ণ লকডাউন রাজ্যে। আগামীকাল, বৃহস্পতিবার থেকেই চালু হচ্ছে নয়া নিয়মবিধি। তার আগে বুধবার কলকাতা পুলিশ এবং পুরসভার তরফে প্রস্তুতি তুঙ্গে। বাজারে বাজারে চলছে সচেতনতা প্রচার। লকডাউন যাতে কার্যকর হয়, সে বিষয়েও বোঝানো হচ্ছে নাগরিকদের। সেই সঙ্গে কলকাতা পুলিশের তরফে বিলি করা হচ্ছে মাস্কও। এক দিকে যেমন সচেতনতা প্রচার চলছে, তেমনই যাঁরা করোনার বিধি-নিষেধ মানছেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপও করছে কলকাতা পুলিশ।
এ দিন গড়িয়াহাট থেকে ফুলবাগান, বেহালা থেকে চিৎপুর— বিভিন্ন বাজারে মাইকে প্রচার করে পুলিশ। একই সঙ্গে জেলাগুলোতেও এ বিষয়ে প্রচার করা হয় প্রশাসনের তরফে। গত দু’দিনে (২০ এবং ২১ জুন) লকডাউনের নিয়ম না মানার জন্য কলকাতা পুলিশ ১০৫টি এফআইআর করেছে। গ্রেফতার পাঁচশোরও বেশি। গাড়ি বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৩২টি।
মাস্ক না পরার জন্য গ্রেফতার হয়েছেন ৮২৭ জন। যত্রতত্র থুথু ফেলার জন্য ৫০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতি দিনই সব থানা এলাকায় সচেতনতা প্রচার চলবে। এর পরেও যাঁরা নিয়ম মানবেন না আইন অনুযায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: রাতারাতি সিদ্ধান্ত বদল, বিজেপি ছেড়ে দিলেন মেহতাব
কলকাতায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রতি দিনই বাড়ছে। এক দিনে পাঁচ-ছশো করে মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন। বেশ কিছু এলাকায় আগে থেকেই কন্টেনমেন্ট জোন করে লকডাউনের পথে হেঁটে ছিল রাজ্য। গত সোমবার রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, সপ্তাহে দু’দিন করে লকডাউন হবে। এ সপ্তাহে বৃহস্পতিবার এবং শনিবার লকডাউনের নিয়ন্ত্রণবিধি জারি থাকবে। এ বিষয়ে বুধবার বিজ্ঞপ্তিও জারি করে রাজ্য সরকার। আগামী সপ্তাহে বুধবার এবং আরও একটি দিন লকডাউন থাকার কথা। লকডাউনের প্রত্যেক দিন ভোর ছ’টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সম্পূর্ণ লকডাউন। তা ছাড়া, প্রতি দিন রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত ব্যক্তিবিশেষের গতিবিধিতে (জরুরি ছাড়া) যে নিয়ন্ত্রণ ছিল, তা বহাল থাকবে।
আরও পড়ুন: লাদাখে তীক্ষ্ণ নজরদারি, বিশ্বের সবচেয়ে হালকা ও দ্রুতগতির ড্রোন পেল ভারতীয় সেনা
নবান্নের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রাজ্য জুড়ে লকডাউনের দিনগুলিতে সরকারি এবং বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি পরিবহণও চলবে না। তবে স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত গতিবিধি, ওষুধের দোকান, আইনশৃঙ্খলা, সংশোধনাগার, দমকল, বিদ্যুৎ, রাজ্যের ভিতরে এবং অন্তঃরাজ্য পণ্য পরিষেবা, সংবাদমাধ্যম, রান্না করা খাবারের হোম ডেলিভারি করা যাবে। ছাড় দেওয়া হয়েছে চালু শিল্প উৎপাদন প্রক্রিয়ায়। যে সব কারখানায় শ্রমিকরা থেকে কাজ করতে পারেন, সেগুলিকেও নিয়ন্ত্রণের আওতায় রাখা হয়নি। চা-বাগানের কাজও লকডাউনের বাইরে রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy