ফাইল চিত্র।
লকডাউনের দিন হাওড়া জেলা হাসপাতালের এক জুনিয়র চিকিৎসককে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল খোদ পুলিশেরই বিরুদ্ধে। অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার, সার্বিক লকডাউনের প্রথম দিনে ওই চিকিৎসক যখন হাসপাতালে যাচ্ছিলেন, তখন তাঁর পথ আটকে হেনস্থা করেন কয়েক জন সাদা পোশাকের পুলিশকর্মী। এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই হাওড়ার জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন ওই জুনিয়র চিকিৎসক। স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে হাওড়া সিটি পুলিশের পদস্থ কর্তাদেরও এই বিষয়টি জানানো হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, হাওড়ার চ্যাটার্জিহাটের বাসিন্দা ওই জুনিয়র চিকিৎসক বর্তমানে ডিএনবি কোর্সের স্নাতকোত্তর স্তরের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। এ দিন লকডাউনের কারণে গাড়ির চালক না আসায় টোটো করে হাসপাতালে যেতে স্থানীয় প্রাক্তন কাউন্সিলরের থেকে লিখিত অনুমতি নিয়েছিলেন তিনি। তার পরে একটি টোটোয় চেপে হাওড়া হাসপাতালে কাজে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, শিবপুর থানা এলাকার কাজিপাড়া মোড়ের কাছে একটি পুলিশের গাড়ি ওই টোটোটিকে আটকায়। গাড়ির পিছনে বসে থাকা এক পুলিশকর্মী টোটোচালকের কাছে জানতে চান, তিনি কোথায় যাচ্ছেন। চিকিৎসককে হাসপাতালে পৌঁছে দিতে যাওয়ার কথা জানানোর পরেও ওই পুলিশকর্মীরা টোটোচালককে রাস্তা ছেড়ে দেননি বলে অভিযোগ। বরং ওই চিকিৎসকের সঙ্গে তাঁরা অভব্য আচরণ করেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। প্রায় ১৫ মিনিট ওই টোটোটিকে আটকে রাখা হয়।
হাওড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভবানী দাস বলেন, ‘‘ওই চিকিৎসকের অভিযোগ পেয়েছি। চিকিৎসকদের এ ভাবে কাজে আসার সময়ে আটকানো যায় না। এ নিয়ে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলব।’’ হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ অফিসার বলেন, ‘‘ঝামেলাটা ট্র্যাফিক পুলিশের সঙ্গে হয়েছিল। খোঁজ নিয়ে দেখছি, ঠিক কী হয়েছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy