সুসজ্জিত: পুজো উপলক্ষে আলোকোজ্জ্বল দক্ষিণেশ্বর মন্দির। রবিবার। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
দু’বছর পরে এ বার ফের কালীপুজোর রাতে দক্ষিণেশ্বর মন্দির চত্বরে বসে পুজো দেখার সুযোগ পাবেন ভক্ত ও দর্শনার্থীরা। করোনার কারণে আগের দু’বছর সেই সুযোগ ছিল না। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের পুজোর এ বার ১৬৮তম বছর।
মন্দির সূত্রের খবর, কথামৃতে বর্ণিত সাবেক সোনার গয়নাতেই সাজানো হবে ভবতারিণীকে। সাবেক ধাঁচে পরানো হবে বেনারসি শাড়ি। আজ, সোমবার ভোর ৫টা থেকে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে মন্দিরের সিংহদুয়ার। কালীপুজোয় সারা রাত ধরে চলবে পুজো নেওয়া। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, করোনার বিধিনিষেধ মেনে গত বছর পুজো দেওয়ার পরে মন্দির চত্বরে বসার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এ বারে সেই নিষেধাজ্ঞা না-থাকায় পুজো দেওয়ার পরে নাটমন্দির চত্বরে বসে এবং মন্দির চত্বরে লাগানো বড় পর্দায় দেখা যাবে ভবতারিণীর পুজো-অর্চনা। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের অছি পরিষদের তরফে কুশল চৌধুরী বলেন, ‘‘কালীপুজোর সারা রাত ভবতারিণীর পুজো-অর্চনা দেখার জন্য ভক্ত ও দর্শনার্থীরা অপেক্ষা করে থাকেন। আবার সেই সুযোগ করে দিতে পেরে আমরাও আনন্দিত।’’ তবে এ বারও হাতে হাতে প্রসাদ বিতরণ বন্ধ থাকছে।
আজ ভোরে মঙ্গলারতি দিয়ে ১৬৮তম পুজোর সূচনা হবে। নিত্যপুজোর পাশাপাশি রাতে হবে বিশেষ পুজো। রাতে গঙ্গায় বান চলে যাওয়ার পরে প্রথা মেনে মন্দিরের চাঁদনি ঘাটে পুজোর ঘটে জল ভরতে যাওয়া হবে। প্রতি বছরের মতো এ বারও জল ভরার সময়ে গঙ্গায় অর্ধচন্দ্রাকৃতি নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করবে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও রিভার ট্র্যাফিক পুলিশ। থাকছেবিশেষ আলোর ব্যবস্থা। ঘটে জল ভরার পরে সাধারণের জন্য গঙ্গার ঘাটে প্রবেশ বন্ধ করা হবে। রাত সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হবে পুজো। চার প্রহরে ষোড়শোপচারে হবে ভবতারিণীর পুজোর আয়োজন। অন্ন, পাঁচ রকম মাছ, পাঁচ রকম আনাজ ভাজা, ঘি-ভাত, পাঁচ রকম মিষ্টি ও দই সহযোগে ভোগ নিবেদন করা হবে। প্রতি বছরের মতো এ বারও বাহারি আলোর মালায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে মূল মন্দির-সহ গোটা চত্বর।
কুশল জানান, দক্ষিণেশ্বরের অতিথিশালার পাশেই খাবারের দোকানগুলিকে সুসংহত ভাবে পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে। যাতে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের খাবারের কোনও সমস্যা না হয়। দক্ষিণেশ্বরে এসে পুজোর প্রস্তুতি সরেজমিনে দেখে গিয়েছেন ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া। ব্যারাকপুর পুলিশ ও রাজ্য পুলিশের তরফে সাদা পোশাকের বাহিনী, বম্ব স্কোয়াড, বিশেষ পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে গোটা মন্দির চত্বরে। অন্য দিকে, মন্দিরের নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীর পাশাপাশি নজরদারি চলবে প্রায় ৩০-৩৫টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy