প্রতীকী ছবি
জেলা বিচারকের নির্দেশিকা থাকা সত্ত্বেও আইনজীবীরা গরহাজিরার সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় আজ, সোমবার থেকে আলিপুরের দায়রা, ফৌজদারি এবং বাণিজ্যিক আদালতে গুরুত্বপূর্ণ মামলার সশরীরে শুনানি অনিশ্চিত হয়ে পড়ল। এমনটাই মনে করছেন আইনজীবীদের একাংশ।
গত বৃহস্পতিবার এক নির্দেশিকা জারি করে জেলা বিচারক জানিয়েছিলেন, সোমবার থেকে আলিপুরের দায়রা, ফৌজদারি ও বাণিজ্যিক আদালতে গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলির সশরীরে শুনানি শুরু হবে। করোনা সংক্রমণের সরকারি বিধিনিষেধ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরেই ওই শুনানি শুরু হবে বলে জানানো হয়েছিল বিচারকের তরফে।
কিন্তু গত শুক্রবার আলিপুর আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য-আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, সংক্রমণ প্রতিরোধে তেমন কোনও ব্যবস্থা না-নিয়েই সশরীরে মামলার শুনানি শুরু করা হচ্ছে। প্রতিবাদে ওই দিন জেলা বিচারকের অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। আদালতের সমগ্র পরিস্থিতি বিবেচনা করার পরেই সশরীরে শুনানি শুরু করার দাবি জানান আইনজীবীরা। বার অ্যাসোসিয়েশনের এক কর্তা বলেন, ‘‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া পর্যন্ত কোনও আইনজীবী সশরীরে মামলার শুনানিতে অংশগ্রহণ করবেন না বলে জেলা বিচারককে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’
শুধু আইনজীবীরাই নন। আলিপুরের ফৌজদারি, দায়রা ও বাণিজ্যিক আদালতে প্রায় হাজারখানেক কর্মী রয়েছেন। অনেকেরই বাড়ি কলকাতা থেকে বহু দূরে। লকডাউনে এখন ট্রেন বন্ধ। সরকারি-বেসরকারি বাসও পর্যাপ্ত নয়। আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য, আদালতে কর্মীরা না-এলে সশরীরে শুনানি সম্ভব নয়। এর উপরে সম্প্রতি আদালতের কয়েক জন কর্মী এবং গাড়িচালক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর। ফলে কর্মীদের যাওয়া-আসার ব্যাপারে নজরদারিরও প্রয়োজন রয়েছে বলে দাবি করেছেন আইনজীবীরা।
তবে রবিবার দুপুরে আলিপুরের ফৌজদারি আদালত চত্বর জীবাণুমুক্ত করার কাজ হয়। জীবাণুমুক্ত করা হয় বিচারকদের এজলাসও। পাশাপাশি, ঘূর্ণিঝড় আমপানে আদালত চত্বরে যে গাছগুলি ভেঙে পড়েছিল, এ দিন থেকে সেগুলি সরিয়ে আদালত চত্বর সাফ করার কাজও শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫ তলা থেকে দুই শিশুকে ছুড়ে ফেলল প্রতিবেশী, ঘটনা বড়বাজারের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy