ফাইল চিত্র।
ভোটের মুখে রাজ্য সরকারের ‘পাড়ায় সমাধান’ কর্মসূচি শুরু হতেই রাস্তা, আলো-সহ বিভিন্ন ধরনের পুর পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ জানাতে শুরু করেছেন নাগরিকেরা।
বিধাননগরের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডেও শুরু হয়েছে ওই কর্মসূচি। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তা, আলো, মিউটেশন, ট্রেড লাইসেন্স, জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র, সম্পত্তিকর ও বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদনের মতো নানা বিষয় নিয়ে তাঁদের প্রচুর অভিযোগ রয়েছে।
ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, এলাকার একাধিক রাস্তার হাল অত্যন্ত খারাপ। বার বার বলা সত্ত্বেও সারানো হয়নি। তার উপরে ব্লকের ভিতরের রাস্তাগুলিতে গাড়ির চাপ বেড়েছে। তাই রাস্তা আগের চেয়েও তাড়াতাড়ি খারাপ হচ্ছে।
তাঁদের আরও অভিযোগ, আমপানে বহু বাতিস্তম্ভের ক্ষতি হয়েছে। সেগুলি আজও সারানো হয়নি। এ ছাড়া, বহু রাস্তায় ও গলিপথে এখনও আলো লাগানো হয়নি। সেই কারণে বাসিন্দারা অনেকেই নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। ঘটনাচক্রে, বিধাননগর পুর এলাকায় গত পাঁচ বছরে সব চেয়ে বেশি অভিযোগ শোনা গিয়েছে রাস্তার আলো নিয়েই। ‘পাড়ায় সমাধান’ কর্মসূচির হাত ধরে বাসিন্দাদের সেই অভিযোগই আবার সামনে চলে এল।
৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, তাঁর কাজ নির্দিষ্ট। তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ তাঁর কাছে আসেনি। তবে বাসিন্দারা এমন বেশ কিছু বিষয় নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন, যা তাঁর এক্তিয়ারের বাইরে। তিনি পুর কর্তৃপক্ষকে সে কথা জানিয়েছেন।
বিধাননগর পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তাপস চট্টোপাধ্যায় জানান, রাস্তা মেরামতি নিয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ের একটি বিস্তারিত প্রস্তাব নগরোন্নয়ন দফতরের কাছে পাঠানো হয়েছে। অর্থের অনুমোদন এলেই দ্রুত কাজ শুরু করা হবে। তবে শুধু সল্টলেকেই নয়, রাস্তা নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে রাজারহাট-গোপালপুর এলাকাতেও।
পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, পুজোর আগে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বেহাল রাস্তার অস্থায়ী মেরামতি হয়েছে। এ বার স্থায়ী মেরামতির কাজ করা হবে। পাশাপাশি, আমপানে ক্ষতিগ্রস্ত বাতিস্তম্ভগুলি মেরামত করার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ওয়ার্ডে সেই কাজ শুরু হবে।
কৃষ্ণাদেবীর দাবি, ট্রেড লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে নিয়মকানুন আগের চেয়ে অনেক সরল করা হয়েছে। পুরসভা বিষয়টি মানবিক দিক থেকেও বিচার করছে। কিন্তু ন্যূনতম কিছু সরকারি নিয়ম মানতে হবে। তাঁর বক্তব্য, ‘পাড়ায় সমাধান’ কর্মসূচির মাধ্যমে বাসিন্দাদের সমস্যা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy