সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে হওয়া বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পরেও জলমগ্ন ছিল ভি আই পি রোডের হলদিরাম অঞ্চলের সার্ভিস রোড। —নিজস্ব চিত্র।
একটু ভারী বৃষ্টি হলেই জল জমে মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছে ভি আই পি রোডের হলদিরাম এলাকা। কিছু ক্ষণ বৃষ্টি হলেই ওই এলাকার রাস্তা ও সার্ভিস রোড, সবই জলমগ্ন হয়ে পড়ে। নিকাশি ব্যবস্থার বেহাল দশার কারণে জল নামতেও অনেক সময় লাগে। এই পরিস্থিতির দায় কার, তা নিয়ে বিধাননগর পুরসভা ও পূর্ত দফতরের মধ্যে চাপানউতর চলে। গত শুক্রবার ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে হওয়া বৃষ্টিতেও সেই একই ছবি ফিরে এসেছিল হলদিরাম তল্লাটে। বিধাননগর পুরসভা ও পূর্ত দফতর অবশ্য দাবি করেছে, এই সমস্যা থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার উপায় খোঁজা হচ্ছে।
পুরসভা ও পূর্ত দফতরের আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, দুর্গাপুজোর আগে ওই দুই দফতর, পুলিশ ও সেচ দফতরের কর্তারা মিলে বৈঠকে বসেছিলেন। সেখানে হলদিরাম এলাকার জল-যন্ত্রণা নিয়ে আলোচনা হয়। সমস্যা মেটাতে ঠিক হয়েছে, ভি আই পি রোডের নীচ দিয়ে বা চিনার পার্কের নীচ দিয়ে ওই জল নামানো হবে। এ বিষয়ে বিধাননগর পুরসভার তরফে পূর্ত দফতরকে প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। আধিকারিক মহলের খবর, জমা জল বার করতে ভি আই পি রোড বা চিনার পার্কের নীচ দিয়ে নিকাশি নালা তৈরি করার প্রস্তাব পূর্ত দফতরকে দেওয়া হয়েছে। কারণ, জনসংখ্যার তুলনায় ওই দুই এলাকার নিকাশি নালাগুলির জল বহন ক্ষমতা অনেকটাই কম বলে মনে করছেন ইঞ্জিনিয়ারেরা। সেই সঙ্গে গড়িয়া- বিমানবন্দর মেট্রোর নির্মাণকাজের জন্য নিকাশি নালার মুখ অধিকাংশ জায়গায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলেও দাবি পুরসভা ও পূর্ত দফতরের।
প্রসঙ্গত, হলদিরাম ও চিনার পার্কের বাসিন্দাদের জল জমা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ রয়েছে। ওই চত্বরে রয়েছে একটি বেসরকারি হাসপাতাল। জলমগ্ন রাস্তায় রোগী নিয়ে যাতায়াত করতে সমস্যায় পড়তে হয় লোকজনকে। বিভিন্ন আবাসনের মানুষজনকে জলবন্দি অবস্থায় দিনের পর দিন কাটাতে হয়। জল পারাপার করতে রিকশাচালকেরা বেশি টাকা দাবি করেন। গাড়ি খারাপ হলে স্থানীয় উদ্ধারকারীরা চড়া দর হাঁকেন বলেও অভিযোগ। ভি আই পি রোডে যানজটে আটকে যাওয়ায় যাত্রীদের বিমান ধরতে না পারার ঘটনাও ঘটে।
বিধাননগর পুরসভার দাবি, ভি আই পি রোড পূর্ত দফতরের। নিকাশি ব্যবস্থার পরিকল্পনাও তাদেরই করার কথা। পুরসভার তরফে পুজোর আগে হওয়া বৈঠকে পূর্ত দফতরকে একটি পৃথক নালা তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, সেই প্রস্তাব উপরমহলে ইতিমধ্যেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আপাতত কর্তৃপক্ষের নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।
আবার সেচ দফতরের একটি সূত্র জানাচ্ছে, হলদিরাম, চিনার পার্ক, বাগুইআটির মতো এলাকার জল বাগজোলা খাল থেকে কুলটি খালে ফেলতে মিনাখাঁর কাছে বর্তমানের তুলনায় বেশি শক্তিশালী পাম্প হাউস তৈরি করা হচ্ছে। কারণ, বাগজোলা খালের জলধারণ ক্ষমতাও এলাকার জনসংখ্যার তুলনায় কমে গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy