Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Kolkata

Pavlov Hospital: স্বাস্থ্য ভবনে হাজিরা দিলেন পাভলভের সুপার, দিয়ে এলেন শোকজের জবাবি চিঠিও

রোগীদের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বন্দি করে রাখা হয়েছে, খাবার নিম্নমানের— সম্প্রতি এমনই নানা অভিযোগ উঠেছে পাভলভ মানসিক হাসপাতালের বিরুদ্ধে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২২ ১৫:০১
Share: Save:

পাভলভ-কাণ্ডে অবশেষে শোকজের জবাব দিলেন সুপার। মঙ্গলবার দু’পাতার উত্তর দিয়েছেন পাভলভ মানসিক হাসপাতালের সুপার গণেশ প্রসাদ। এ দিন তাঁকে তলব করা হয়েছিল স্বাস্থ্য ভবনে। সেই মতো স্বাস্থ্য ভবনে যান সুপার। সূত্রের খবর, পাভলভ সম্পর্কে যা যা জানতে চাওয়া হয়েছিল, তার যথাযথ ব্যাখ্যা সুপার শোকজের জবাবে দিয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মঙ্গলবার স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম জানিয়েছেন, পাভলভ হাসপাতালের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক হয়েছে। যথাযথ পদক্ষেপ করা হচ্ছে। দিন দুয়েক পর আরও একটি বৈঠক হবে। প্রয়োজনে আবারও সুপারকে ডাকা হতে পারে।

সোমবার রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী জানিয়েছিলেন, অবিলম্বে শোকজের সদুত্তর না দিলে, পাভলভ হাসপাতালের সুপারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই দিন আরও একবার পাভলভ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য ভবনের ‘মেন্টাল হেলথ’ বিভাগের আধিকারিকরা। তাঁরা হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডটি পরিদর্শন করেন। কথা বলেন হাসপাতালের সুপার এবং নার্সিং স্টাফদের সঙ্গেও। পাভলভ হাসপাতালের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উঠেছে, সেগুলি খতিয়ে দেখতেই স্বাস্থ্যকর্তাদের সরাসরি পাভলভে আগমন বলে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর।

রোগীদের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বন্দি করে রাখা হয়েছে। খাবারের মান নিম্ন— সম্প্রতি এমনই নানা অভিযোগ উঠেছে পাভলভ মানসিক হাসপাতালের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে সুপারের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। স্বাস্থ্য দফতরের পর্যবেক্ষণ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, হাসপাতালের অন্ধকার এবং স্যাঁতসেঁতে দু’টি মাত্র ঘরে ১৩ জন রোগীকে বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। ওই ঘরটির অবস্থাও বিপজ্জনক।

এই প্রসঙ্গে মনোসমাজকর্মী রত্নাবলী রায় বলেন, ‘‘হাসপাতালের বাইরের সৌন্দর্যের তুলনায় ভিতরের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে নজর দিলে এই অবস্থা হত না। রোগীদের ওই ধরনের বদ্ধ ঘরে রাখলে তাঁরা তো কোনও দিন সুস্থ হবেন না। কিন্তু আমার প্রশ্ন কেন ওই ১৩ জনকে এই অবস্থায় রাখা হয়েছে? এ তো কুঠুরিতে রাখার শামিল। ২০১৫ সালেই এই ধরনের ‘কাল কুঠুরি’ ভেঙে দেওয়া হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কেরল হাই কোর্টের এ বিষয়ে নির্দেশও রয়েছে যে, কোনও মানসিক রোগীকে ‘নির্জন কালকুঠুরি’তে রাখা যাবে না।’’ রত্নাবলী প্রশ্ন তুলেছেন রোগী কল্যাণ সমিতির ভূমিকা নিয়েও।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy