বিপত্তি: বাড়ির একাংশ ভেঙে বন্ধ ফুটপাত। বুধবার, হেস্টিংস পার্ক রোডে। নিজস্ব চিত্র।
বহুতল তৈরি করতে একটি পুরনো বাড়ি ভেঙে ফেলার কাজ চলছিল। সেই কাজ চলাকালীনই বাড়ির একাংশ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল রাস্তায়। বুধবার সকালে, আলিপুর থানার কাছে বেলভেডিয়ার রোড সংলগ্ন হেস্টিংস পার্ক রোডের ঘটনা। এই ঘটনার জেরে সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। রাত পর্যন্ত বন্ধই থাকে রাস্তার এক দিকের ফুটপাত। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এতে কেউ হতাহত না হলেও অল্পের জন্য বড় বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া গিয়েছে। সেই সঙ্গে খাস কলকাতায়, থানার এত কাছে নিরাপত্তার কোনও রকম বন্দোবস্ত ছাড়াই বাড়ি ভাঙার কাজ চলছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, কলকাতা পুরসভার ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়ার্ড অফিসের উল্টো দিকেই ৪ নম্বর হেস্টিংস পার্ক রোডের বাড়িটি ভাঙার কাজ চলছে। উঁচু পাঁচিলে ঘেরা বাড়িটির ভিতরে একটি জেসিবি যন্ত্র দাঁড়িয়ে। ভিতরের দিকে ভাঙার কাজ হয়ে গেলেও রাস্তার দিকের কিছুটা অংশ ভেঙে বিপজ্জনক ভাবে ঝুলছে। বাড়ি ভাঙার জন্য চার দিক ঘিরে দেওয়ার যে পুর বিধি রয়েছে, তা মানা হয়নি বলে অভিযোগ। ওই বাড়িরই একটি অংশ ভেঙে এ দিন সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ রাস্তায় পড়ে। বাড়ির ছাদের সিমেন্টের বিশাল চাঙড়ের তলায় চাপা পড়ে যায় ফুটপাতের রেলিং। একাধিক তারের জট সেই চাঙড় ঘিরে। তার মধ্যে দিয়েই বিপজ্জনক ভাবে যাতায়াত করছেন পথচারীরা।
ওয়ার্ড অফিসের এক কর্মী জানান, দোতলা বাড়িটি বছরখানেক আগেই বিক্রি হয়ে গিয়েছে। সেটি ভেঙে বহুতল তৈরি হওয়ার কাজ শুরু করেছে প্রোমোটার সংস্থা। বাড়িটির উল্টো দিকে রয়েছে এক আইপিএসের বাংলো। এমন জায়গায় তেমন কোনও নিরাপত্তার বন্দোবস্ত ছাড়া বাড়ি ভাঙার কাজ চলে কী করে? ওই বাড়িটি ভাঙার দায়িত্বে থাকা সংস্থার তরফে অনুপ জয়সওয়ালের দাবি, ‘‘সব রকম নিয়ম মেনেই কাজ করা হচ্ছিল। এ দিন বাড়ির অন্য দিকে কাজ চলছিল। বাড়ির বাইরের দিকের ওই অংশ যে এ ভাবে ভেঙে পড়বে, তা ভাবা যায়নি।’’
এই ঘটনা নিয়ে স্থানীয় পুর কোঅর্ডিনেটর দেবলীনা বিশ্বাস যদিও বলেন, ‘‘সকালে ঘটনাটা নিজের চোখেই দেখেছি। নিরাপত্তা-বিধি সকলেরই মেনে কাজ করা উচিত। নির্মাণ-বিধি মেনে কাজ হচ্ছে কি না, তা দেখার জন্য পুরসভার নির্দিষ্ট বিভাগ রয়েছে। ওয়ার্ডের সব বিষয়ে কোঅর্ডিনেটরদের ঢোকাটা ভাল দেখায় না। তা ছাড়া এত কাছে থানা। পুলিশেরই বেশি নজর দেওয়া উচিত।’’
আলিপুর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, বাড়ির মালিক এবং যে সংস্থা বাড়িটি ভাঙার কাজ করছিল, তাদের আধিকারিকদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। গাফিলতির সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গাফিলতি পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy