ফাইল চিত্র।
অতিমারির জন্য নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার নম্বর ও দশম শ্রেণির ইন্টারনাল ফর্মেটিভ অ্যাসেসমেন্টের নম্বর থেকে ৫০ শতাংশ করে নিয়ে মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হওয়ার পরে মঙ্গলবারই বেশ কিছু পড়ুয়া ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল। অনেকেই বলেছিল, নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষাকে এই ভাবে গুরুত্ব দেওয়ায় মাধ্যমিকের নম্বর কমে গিয়েছে। নবম শ্রেণির কম নম্বর নিয়েই বুধবার বিক্ষোভ দেখালেন বাগবাজারের রামকৃষ্ণ সারদা মিশন সিস্টার নিবেদিতা গার্লস স্কুলের ছাত্রীদের বেশ কিছু অভিভাবক।
এ দিন শ’খানেক অভিভাবক স্কুলে হাজির হয়ে কর্তৃপক্ষকে জানান, নবম শ্রেণিতে কড়া ভাবে খাতা দেখার জন্য তাঁদের মেয়েদের মাধ্যমিকের নম্বর কমে গিয়েছে। তারা পছন্দের বিষয় নিয়ে পছন্দের স্কুলে ভর্তি হতে পারছে না। কয়েক জন অভিভাবক জানান, এ বার স্কুলের বেশির ভাগ ছাত্রী ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। এমন ফল স্কুলে কোনও বার হয় না বলে দাবি তাঁদের। ৯০ শতাংশের উপরে নম্বর অনেক ছাত্রীই পায় বলে জানাচ্ছেন অভিভাবকেরা। তা ছাড়াও, অনেকে নবম শ্রেণির থেকে মাধ্যমিককে বেশি গুরুত্ব দিয়ে বেশি পড়াশোনা করে। কিন্তু সেই প্রস্তুতি কাজে লাগেনি বলে জানান অভিভাবকেরা।
এ দিন ওই অভিভাবকেরা দাবি করেন, রামকৃষ্ণ সারদা মিশন সিস্টার নিবেদিতা গার্লস স্কুলের কর্তৃপক্ষকেই ছাত্রীদের উচ্চ মাধ্যমিকে তাদের পছন্দের বিষয় নিয়ে ভর্তির ব্যবস্থা করে দিতে হবে। এক অভিভাবক বলেন, “মেয়ে বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চায়। কিন্তু এ বার বেশির ভাগ পড়ুয়ার খুব ভাল ফল হয়েছে। সেখানে মেয়ে ৬৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে ভাল স্কুলে ভর্তি হতে পারবে না। স্কুলকেই পছন্দের বিষয় নিয়ে ভর্তির ব্যবস্থা করে দিতে হবে। না হলে আমরা স্কুল থেকে মার্কশিট নেব না।” স্কুল কর্তৃপক্ষ অবশ্য বিক্ষোভকারীদের জানিয়ে দেন, ভর্তির সুপারিশ ছাড়া যাঁরা মার্কশিট নিতে চান, তাঁদের তা দেওয়া হবে।
ওই স্কুলের পক্ষে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদের নির্দেশ অনুসারে ২০২১-এর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের তালিকা পর্ষদে পাঠানো হয়েছিল। সেই নম্বরের উপরে ভিত্তি করে মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হয়েছে। অভিভাবকেরা সেই নম্বরে সন্তুষ্ট নন, কারণ প্রতি বছর এই স্কুলের ছাত্রীরা মাধ্যমিকে অসাধারণ ফল করে থাকে। নম্বর তুলনামূলক ভাবে অনেকটাই কম হওয়ায় অন্যান্য স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে ছাত্রীদের ভর্তি করতে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন অভিভাবকেরা। তবে স্কুলের সব ছাত্রীই ৬০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy