ফাইল চিত্র।
শহরের রাস্তায় পণ্যবাহী গাড়ির ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত মালবহন (ওভারলোডিং) বন্ধ করার জন্য রাজ্য পরিবহণ দফতরের সাহায্য চাইল লালবাজার। বিষয়টি জানিয়ে গত সপ্তাহে পরিবহণ সচিবকে চিঠি পাঠিয়েছেন কলকাতা পুলিশের ডিসি (ট্র্যাফিক) অরিজিৎ সিংহ। যাতে পণ্যবাহী গাড়িতে অতিরিক্ত মাল বহন বন্ধের জন্য যৌথ ভাবে অভিযান চালানোর কথা বলা হয়েছে। যদিও সূত্রের দাবি, গত পয়লা ডিসেম্বর পাঠানো ওই চিঠির বিষয়ে সোমবার রাত পর্যন্ত লালবাজারকে কিছু জানায়নি পরিবহণ দফতর।
পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, নির্দেশ-নজরদারি সত্ত্বেও ট্রাকে বাড়তি পণ্য বহন করা বন্ধ হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এ দিকে মোটরযান আইন অনুযায়ী, কোনও পণ্যবাহী গাড়ি বাড়তি জিনিস বহন করছে কি না, তা পুলিশের পক্ষে নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। সেই কাজ করতে পারে শুধু পরিবহণ দফতর। তাই ট্রাক বা লরিতে অতিরিক্ত মাল বহন বন্ধে যাতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সেই কারণে পরিবহণ দফতরকে এই অভিযানে শামিল করতে চাইছে লালবাজার।
পরিবহণ দফতরে পাঠানো চিঠিতে লালবাজারের তরফে বলা হয়েছে, শহরের বেহাল রাস্তা এবং দুর্ঘটনার জন্য অনেকাংশে দায়ী লরি বা ট্রাকে এই অতিরিক্ত পণ্য পরিবহণ। বিশেষত রাতে এমন লরি বা ট্রাক বেপরোয়া গতিতে চলাচল করে বলে অভিযোগ। কিন্তু যে হেতু পুলিশের পক্ষে ওভারলোডিং নির্ধারণ করা সম্ভব নয়, তাই পরিবহণ দফতরকে সাহায্য করতে হবে। যেখানে ওয়ে ব্রিজ আছে, বিশেষ করে বন্দর এবং কাশীপুর এলাকায় পণ্যবাহী গাড়ির ওভারলোডিং পরীক্ষা করা সম্ভব।
এক পুলিশকর্তা জানান, ওই চিঠিতে পরিবহণ সচিবকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে অনুরোধ করা হয়েছে। যাতে উভয় পক্ষ যৌথ ভাবে এই অভিযান চালাতে পারে। আইনভঙ্গকারী লরি বা ট্রাকের বিরুদ্ধে পরিবহণ দফতর ব্যবস্থা গ্রহণ করলে কলকাতা পুলিশ সাহায্য করবে।
পুলিশের একটি অংশ জানিয়েছে, রাতের শহরে বাইরে থেকে যত পণ্যবাহী লরি ঢোকে, সেগুলির অধিকাংশই বাড়তি পণ্য বহন করে বলে অনুমান। কিন্তু, সে ক্ষেত্রে পুলিশের কিছু করার থাকে না। সম্প্রতি নদিয়ার হাঁসখালিতে শববাহী গাড়ির সঙ্গে লরির সংঘর্ষে ১৭ জনের মৃত্যুর ঘটনার পরে নবান্নে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। সেখানেই লরির ওভারলোডিং বন্ধ করতে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওভারলোডিং বন্ধের জন্য পরিবহণ দফতরকে সহযোগিতা করতে লালবাজারের তরফে এক জন অফিসার অন স্পেশ্যাল ডিউটি (ওএসডি)-কে নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। পরিবহণ দফতর দিনক্ষণ ঠিক করে কর্মীদের পাঠালেই এই অভিযান শুরু হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy