প্রতীকী ছবি।
১৯১৮ সালের মহামারিতে মৃতদের দেহ সৎকারের দায়িত্বে ছিল যারা, করোনার ক্ষেত্রেও সৎকারের দায়িত্ব পড়েছে তাদেরই কাঁধে। আবার কলকাতা পুলিশের হেফাজতে থাকা যে অজ্ঞাতপরিচয় দেহগুলি সৎকারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা, কাচে ঢাকা গাড়ি করে শ্মশানে সেই সব দেহও পৌঁছে দিচ্ছে তারা।
সংগঠনের নাম হিন্দু সৎকার সমিতি। ১৯১৮ সালে শুরু হয়েছিল তাদের উদ্যোগ। ওই বছর কলকাতায় ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপে মরদেহ সৎকারের লোক পাওয়া যাচ্ছিল না। তখন কয়েক জন এগিয়ে এসেছিলেন দেহ সৎকারে। সেই উদ্যোগই সাংগঠনিক রূপ পায় ১৯৩২ সালে। সে বছর ইন্দুভূষণ বিদের হাত ধরে শুরু হয় এই সংগঠন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দুই ভাই অনিল ও সনৎ রায়চৌধুরী। ইন্দুভূষণের নাতি রাজীব বিদ এখন সমিতির চেয়ারম্যান।
সমিতির যুগ্ম-সম্পাদক চন্দন ঘোষ জানিয়েছেন, নিমতলা শ্মশানের ভূতনাথ মন্দির রক্ষণাবেক্ষণের টাকায় চলে তাঁদের কাজকর্ম। সমিতির হাতে থাকা পাঁচটি শববাহী গাড়ির মধ্যে দু’টি এখন কাজ করছে করোনায় মৃতদের সৎকারের জন্য। তিনি জানান, বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা এবং ক্লাব এগিয়ে আসার আগে এক সময়ে দেহ সৎকারের ক্ষেত্রে তাঁরাই ছিলেন মূল ভরসা। এখন প্রতিযোগিতায় চলে এসেছে আরও অনেকে।
চন্দনবাবুর কথায়, ‘‘তবু সরকারের ভরসা আমাদের উপরে আছে বলেই এত বড় দায়িত্ব আমাদের কাঁধে তুলে দেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy