পোস্তার শিবতলা স্ট্রিটের বাড়ি থেকে বার করা হচ্ছে দিলীপ গুপ্তের দেহ। ছবি — দীপঙ্কর মজুমদার
ভবানীপুর এলাকায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী শান্তিলাল বেদকে খুনের ধোঁয়াশা কাটেনি এখনও। তারই মধ্যে রবিবার বিকেলে খুন হলেন আর এক স্বর্ণ কারবারি। এ বারের ঘটনাস্থল উত্তর কলকাতার পোস্তা এলাকার শিবতলা স্ট্রিট। পুলিশ জানায়, ৩১ নম্বর শিবতলা স্ট্রিটে নিজের গদিতেই খুন হন দিলীপ গুপ্ত (৬২) নামে ওই ব্যবসায়ী। এ ব্যাপারে বেশ কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলেও রাত পর্যন্ত খুনের কারণ স্পষ্ট নয় বলেই পোস্তা থানা এবং লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে।
সম্পর্কে দিলীপবাবুর শ্যালক, জোড়াসাঁকো এলাকার বাসিন্দা রাজেশ গুপ্ত জানান, এ দিন বিকেলে তিনি তাঁর ভাগ্নির ফোন পেয়ে পোস্তার ওই গদিতে ছুটে যান। রাজেশ বলেন, ‘‘আমায় ফোন করে ভাগ্নি হাউহাউ করে কাঁদতে থাকে। বলে, ‘জলদি আও, পাপা কো মার দিয়া...’!’’ তবে আততায়ী কে বা কারা, কেনই বা রবিবার ছুটির দিনে শিবতলা স্ট্রিটের ওই গদিতে মেয়ে-জামাইকে নিয়ে দিলীপবাবু এসেছিলেন, তা রাজেশের মতোই স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছেও।
মৃতের আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই গদিতে বছর দুয়েক ধরে জামাইয়ের সঙ্গে সোনার কারবার শুরু করেছিলেন দিলীপবাবু। ব্যবসার মূল হোতা ছিলেন দিলীপবাবুর জামাই। কিছু দিন হল জামাইয়ের সঙ্গে ব্যবসার কাজ দেখছিলেন তিনি। মৃতের এক আত্মীয় জানান, ব্যবসার কাজে বেঙ্গালুরুতেই থাকতেন দিলীপবাবু। অবসরের পরে বছর দুয়েক হল কলকাতায় ফিরে জামাইয়ের সঙ্গে কারবার শুরু করেন। থাকতেন আলিপুর এলাকায়। সেখান থেকেই প্রতি দিন পোস্তায় আসতেন। তবে, ছুটির দিনেও সপরিবার কেন এসেছিলেন, সেই উত্তর মেলেনি।
পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘দিলীপবাবুর জামাই এবং মেয়ের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। ঘটনাটি ওঁদের চোখের সামনেই হয়েছে কি না, আততায়ী বাইরে থেকে এসেছিল কি না, সে সব কিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy