—প্রতীকী ছবি।
পরীক্ষার্থী সেজে কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরির পরীক্ষা দেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার হলেন আরও এক জন। ধৃতের নাম আনোয়ার হোসেন। বাড়ি নদিয়ার হাঁসখালিতে। বুধবার তাঁকে ধরেছে ভবানীপুর থানার পুলিশ। ধৃতের ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজত হয়েছে।
গত রবিবার ছিল কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরির লিখিত পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় নিউ মার্কেট, বালিগঞ্জ ও ভবানীপুরের একাধিক কেন্দ্র থেকে দুই তরুণী-সহ ন’জন ভুয়ো পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। জেলা থেকে গ্রেফতার হয়েছেন ১১ জন। পুলিশ জানিয়েছে, ভবানীপুর থানার হাতে ওই দিন গ্রেফতার হওয়া ভুয়ো পরীক্ষার্থীর নাম সুব্রত দস্তিদার। যাঁর বাড়ি হাঁসখালিতে। তাঁকে জেরা করেই আনোয়ারের নাম জানা যায়।
গোয়েন্দারা জানান, সুব্রত ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে এক পরীক্ষার্থীর হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন। সুব্রতকে পাঠিয়েছিলেন আনোয়ার। আনোয়ারের দাবি, তাঁকে ওই কাজের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে ওই নির্দেশ প্রসঙ্গে এবং আরও কত জনের জন্য ভুয়ো পরীক্ষার্থী পাঠানো হয়েছিল, সে বিষয়ে পুলিশ কিছু জানাতে চায়নি। গোয়েন্দাদের দাবি, ওই দিন রাজ্যে ২০ জন গ্রেফতার হলেও আরও অনেকেই এ ভাবে পরীক্ষা দিয়েছেন। সবাইকে ধরা যায়নি বলেও অনুমান।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করছে, লিখিত পরীক্ষাই শুধু নয়, ওই সব ক্ষেত্রে শারীরিক পরীক্ষাও ভুয়ো পরীক্ষার্থীরাই দিয়েছেন। কারণ, লিখিত পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ডের ছবি শারীরিক পরীক্ষার সময়ে তোলা হয়েছিল। ওই ছবির সঙ্গে আসল পরীক্ষার্থীর মুখের মিল নেই বলে জেনেছে পুলিশ।
অন্য দিকে, নিউ মার্কেট থানার হাতে গ্রেফতার হওয়া দুই মহিলা পরীক্ষার্থী রুবি কুমারী ও পুনম কুমারীকে জেরা করে পুলিশ জেনেছে, তাঁদের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের কোডারমায়। তাঁরা হাজারিবাগের একটি কোচিং সেন্টারে পড়তেন। সেখানকার এজেন্টের প্রস্তাবে মালদহের দুই আসল পরীক্ষার্থীর হয়ে পরীক্ষা দিতে আসেন তাঁরা। এক তদন্তকারী জানান, ধৃতদের জেরা করে ভুয়ো পরীক্ষার্থী চক্রের সঙ্গে যুক্ত কয়েক জন এজেন্টের নাম জানা গিয়েছে। আসল দুই পরীক্ষার্থীকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy