Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Kolkata Karcha

কলকাতা কড়চা: রঙিন ফানুসে স্মৃতির ঐতিহ্য

উত্তর ভারত থেকে কলকাতার ফানুস কিছুটা আলাদা। কলকাতায় ঐতিহ্যশালী ফানুস ওড়ানো হয় দিনের আলো থাকতে। আর সুতোয় না বেঁধে তাকে মুক্ত আকাশে উড়িয়ে দেওয়া হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৩ ১০:৪৩
Share: Save:

কলকাতার নীল আকাশে ভেসে যাচ্ছে অতিকায় ঘড়ি, পুতুল, ফুটবল। হঠাৎ বেলুন মনে হলেও, পুরনো দিনের মানুষেরা এক নজর বলে দেবেন যে বেলুন নয়, এগুলি হল ফানুস। কাগজের তৈরি, ওড়ানো হয় সাধারণ হাওয়ার থেকে ‘হট এয়ার’ বা গরম হাওয়া হালকা হওয়ার সুবিধা নিয়ে। মেটিয়াবুরুজে ‘ছোটা লখনউ’ স্থাপিত হওয়ার পরে ফানুস ওড়ানোর শখ জাঁকিয়ে বসে শহরে। আবদুল হালিম শরর লিখেছেন, এই ‘রইসি’ শখের উৎপত্তি দিল্লিতে। রাতের বেলা গোলাকার ফানুসের ভিতরে বেঁধে দেওয়া তেলে-চোবানো কাপড়ের গোলা জ্বেলে দিলেই সেগুলি উড়ত আকাশে। তবে শক্ত সুতো বেঁধে ওড়ানোর ফলে, ফানুসের নিয়ন্ত্রণ থাকত মানুষের হাতে। ইচ্ছেমতো ওড়ানো বা নামিয়ে নেওয়া যেত। সেই সময় কিছু লোক কাগজের মানুষ-পুতুল বানিয়ে ওড়াতে লাগলেন। শরর আন্দাজ করেছেন, এর উৎস হয়তো হিন্দুদের আকাশপ্রদীপের সঙ্গে জুড়ে আছে কোথাও। ঘুড়ির জনপ্রিয়তায় এই ‘রৌশন-পুতলা’ ওড়ানোর শখ অনেকটাই স্তিমিত হয়ে যায়।

তবে উত্তর ভারত থেকে কলকাতার ফানুস কিছুটা আলাদা। কলকাতায় ঐতিহ্যশালী ফানুস ওড়ানো হয় দিনের আলো থাকতে। আর সুতোয় না বেঁধে তাকে মুক্ত আকাশে উড়িয়ে দেওয়া হয়। আশাপূর্ণা দেবীর বাবা, শিল্পী হরেন্দ্রনাথ গুপ্ত প্রতি কালীপুজোয় শখ করে ফানুস বানাতেন ও ওড়াতেন। ঘুড়ির কাগজের মতো পাতলা কাগজ থেকে লম্বাটে লাউয়ের গড়নের ফানুস তৈরি করতেন বাড়িতে। তার নীচের খোলা দিকে শক্ত করে বেঁধে দেওয়া হত কেরোসিনে ভেজানো বল। একদম ঠিকঠাক মাপের এই বল তৈরি ও বাঁধার কাজটি তিনি অন্য কারও হাতে দিতেন না। বাড়ির যথেষ্ট বড় দুই ছেলে বেশি উৎসাহ দেখালে বলতেন “না না, ও তোরা ঠিক পারবি না।” শুনে মজা লাগে বইকি!

সেই ফানুস ওড়ানোর ঐতিহ্য ধরে রেখেছে বিডন স্ট্রিটের দত্তবাড়ি ভোলানাথ ধাম। ১৯২৫ সাল থেকে প্রতি বছর কালীপুজোর বিকেলে ফানুস ওড়ানোর রেওয়াজ, বর্তমানে পালিত হয় অজয় দত্তের তত্ত্বাবধানে। কিন্তু নতুন প্রজন্মের মধ্যে ফানুস বানানোর ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখার উৎসাহের অভাবও কি চোখে পড়ে না? আসলে ছোটরা না দেখলে উৎসাহ পাবেই বা কী করে। তাই প্রতি বছর দুর্গাপুজোর পরই অজয়বাবু ফানুস তৈরির কাজ শুরু করেন। সঙ্গে থাকেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। বাইরে থেকে কয়েকজন শিক্ষানবিশও যোগ দেন। প্রচলিত আকার ছাড়াও গোল, চৌকো, পুতুল এমন নানা আকার ও ধরনের বারো থেকে পনেরোটি ফানুস তৈরি করা ওড়ানো হয় বিশেষ কিছু সরকারি নিয়ম মেনে।

প্রতি বছরের মতো আগামী কাল বিকেলেও সকলে জমা হবেন ভোলানাথ ধামের বিশাল ছাদে। তাঁদের সামনেই একের পর এক ফানুস হাওয়ায় ভেসে দৃষ্টিসীমার বাইরে চলে যাবে, আর ফিরিয়ে আনবে এক টুকরো হারিয়ে-যাওয়া কলকাতার স্মৃতি। আশা, তার সঙ্গে হয়তো ফিরে আসবে সেই ঐতিহ্য সংরক্ষণের উৎসাহও। ছবিতে ভোলানাথ ধামের উড়ন্ত ফানুস, ২০১৮ সালের।

তব গাথা

“ভালোবাসা মানেই কেবলই যাওয়া/ যেখানেই থাকি না কেন/ উঠে পড়া/ পেয়ে গেলে নিকটতম যান...” ‘ব্যক্তিগত নক্ষত্রমালা’ কবিতায় লিখেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (ছবি)। তিন বছর হল চলে গেছেন তিনি, শুধু চলচ্চিত্র ও মঞ্চের অভিনয়েই নয়, সারা জীবনের শিল্পভাবনা ও যাপনের মধ্য দিয়ে বাংলা ও বাঙালিকে তুলে দিয়েছিলেন উৎকর্ষের উচ্চাসনে। ১৫ নভেম্বর সমাগত, তাঁর প্রয়াণদিন স্মরণে ‘মুখোমুখি’ নাট্যদল আয়োজন করেছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় স্মারক বক্তৃতা, এই নিয়ে দ্বিতীয় বছর। ১৮ নভেম্বর শিশির মঞ্চে সন্ধ্যা ৬টায়, এ বছরের বক্তা কৌশিক সেন। দ্বিতীয় পর্বে গীতি আলেখ্য ‘প্রতিদিন তব গাথা’, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়েরই রচনা, রবীন্দ্রনাথকে ছুঁয়ে দেখার অন্তরগত প্রয়াস— গানে ও পাঠে শ্রাবণী সেন মনোজ মুরলী নায়ার সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় পৌলমী চট্টোপাধ্যায়। এই সমগ্র নিবেদনটিতে ‘মুখোমুখি’র সহযোগী ‘সৌমিত্র ও দীপা চট্টোপাধ্যায় ফাউন্ডেশন’।

ভাষা-সন্ধ্যা

কলকাতায় ভারতীয় ও বিদেশি ভাষা শেখার প্রতিষ্ঠান আছে বেশ কয়েকটি। রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অব কালচার, গোলপার্কের ‘স্কুল অব ল্যাঙ্গুয়েজেস’ তাদের অন্যতম, এ শহরের ভাষা-রসিকদের প্রিয় গন্তব্য। ২১টি ভাষা শেখার সুযোগ আছে এখানে এই মুহূর্তে, ৬টি ভারতীয় ভাষা ও ১৫টি বিদেশি— প্রাচীন ‘গ্রিক’ ভাষা সারা দেশে একমাত্র এখানেই শেখানো হয়, জানাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। পালি, তিব্বতি, ল্যাটিনের মতো ভাষা শেখার প্রতিষ্ঠানও হাতে-গোনা, স্কুল অব ল্যাঙ্গুয়েজেস তার একটি। এই প্রতিষ্ঠানই গত ৯ নভেম্বর ইনস্টিটিউটের বিবেকানন্দ হল-এ আয়োজন করেছিল অন্য স্বাদের আন্তর্জাতিক সন্ধ্যা। ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকরা এক মঞ্চে গান গাইলেন, কবিতা পড়লেন— মাতৃভাষার গণ্ডির বাইরে অধীত নানা ভাষায়।

উৎসবময়

এ শহরের গর্ব, দেশের সবচেয়ে পুরনো, অবাণিজ্যিক ‘ক্যুইয়ার’ ছবি-উৎসবের ঠিকানাটি কলকাতা। ২০০৭ থেকে হয়ে আসছে ‘ডায়ালগস: ক্যালকাটা ইন্টারন্যাশনাল এলজিবিটিকিউআইএ+ ফিল্ম অ্যান্ড ভিডিয়ো ফেস্টিভ্যাল’। লিঙ্গপরিচয়, যৌনতা ও তার বিস্তৃততর অনুষঙ্গে মানুষের অধিকার নিয়ে তথ্যচিত্র, কাহিনিচিত্র, ছোট ছবির পরিসরে যে ব্যাপক কাজ হয়ে চলেছে বিশ্বে, তারই স্বাদ মেলে এই ছবি-উৎসবে; দর্শকের মুখোমুখি হন ছবি-করিয়ে ও অ্যাক্টিভিস্টরা। স্যাফো ফর ইকুয়ালিটি, প্রত্যয় জেন্ডার ট্রাস্ট ও গ্যোয়টে ইনস্টিটিউট-এর একত্র উদ্যোগে এ বছরের উৎসব ১৭-১৯ নভেম্বর, এসআরএফটিআই-য়ে। বিশদ তথ্য ডায়ালগসফিল্মফেস্ট ডট ইন সাইটে।

নাট্যপত্র

তিন দশকাধিক ধরে নাট্যকর্মে রত ‘কথাকৃতি’ নাট্যদল, মঞ্চায়নের পাশাপাশি নাটক নিয়ে মননশীল চর্চায় তন্নিষ্ঠ সদস্যরা। অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় স্মরণে ‘অজিতেশ স্মারক বক্তৃতা’ আয়োজন করেন তাঁরা, বক্তা হিসেবে নানা সময়ে এসেছেন সংস্কৃতিজগতের বিশিষ্টজন। থিয়েটারের সামাজিক ভূমিকা, নারীমুক্তি, রবীন্দ্রসাহিত্য বিষয়ক আলোচনা, প্রশিক্ষণ কর্মশালা হয় দলের উদ্যোগে; থিয়েটারের ইতিহাস, নাট্যব্যক্তিত্বদের মূল্যায়ন আদি নানা বিষয়ে বেরোয় নাট্যপত্রও। সাম্প্রতিকতম নাট্যপত্রটি প্রকাশ পাবে আজ ১১ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় মিনার্ভা থিয়েটারে, মূল বিষয় ‘চিরায়ত সাহিত্য থেকে নাট্য, দেশে ও বিদেশে’। নিবন্ধে, স্মৃতিচারণে ঋদ্ধ নাট্যপত্রটির সম্পাদক দলের কর্ণধার সঞ্জীব রায়। পরে দু’টি নাট্যের পাঠ ও মঞ্চাভিনয়: দ্বিজেন্দ্রলাল রায় আধারিত ঐতিহাসিক পৈশুন্য ও দ্য হিডন সিন।

এক ও অনেক

কলকাতার নানা নাট্যদলে তাঁর নির্দেশনায় অনেকগুলো নাটক তৈরি হয়েছে এবং হচ্ছে। নাট্যপ্রেমী দর্শক সাদরে বরণ করেছেন দেবাশিসের কাজ। প্রায় প্রতিটি নাটকেরই রচনা, নির্দেশনা, মঞ্চ আলো ও আবহের পরিকল্পনা তাঁর নিজেরই, এ-ও এক স্বতন্ত্র বিশিষ্টতা। প্রথম রাজনৈতিক হত্যা, নূরজাহান, উড়ন্ত তারাদের ছায়া সাড়া ফেলেছে কলকাতা-সহ সারা বাংলায়, পড়শি দেশেও পেয়েছে আদর। এ বার ‘অনীক’ নাট্যদলের আয়োজনে তপন থিয়েটারে আগামী ১৪ থেকে ২২ নভেম্বর ‘দেবাশিস নাট্যমেলা’, উপরের তিনটি নাটক ছাড়াও অভিনীত হবে আলাদা, ছোট ছোট বড়রা, রাবণ রিলোডেড, লাইফ অব লাভ, আক্ষরিক, যশোমতী, অনুপস্থিত, নির্জনতা ও ফেরারী ফৌজ-সহ মোট ১২টি নাটক, এ ছাড়াও অন্য থিয়েটার ভবনে অন্তরঙ্গ পরিসরে ২০ নভেম্বর সন্ধেয় ভালোবাসা কারে কয়।

বঙ্গ থেকে বিশ্বে

১৯৩৯ থেকে ওয়ার্ল্ড সায়েন্স ফিকশন সোসাইটি ‘হুগো’ পুরস্কার দিয়ে আসছে কল্পবিজ্ঞান ও ফ্যান্টাসি সাহিত্যে। ওয়ার্ল্ড সায়েন্স ফিকশন কনভেনশন বা ‘ওয়ার্ল্ডকন’ নামে অনুষ্ঠান হয় প্রতি বছর। সায়েন্স ফিকশন নিয়ে সবচেয়ে বড় ও নামী অনুষ্ঠান এটি, আসেন বিশ্বের সায়েন্স ফিকশন লেখক সম্পাদক গবেষকরা। এ বছর তা হয়ে গেল চিনের সিচুয়ান প্রদেশের চেংডু শহরে, গত ১৮-২২ অক্টোবর, কয়েক কোটি ডলারে গড়ে তোলা হয়েছিল সায়েন্স ফিকশন মিউজ়িয়ম (ছবি), অনুষ্ঠান উপলক্ষে। এই প্রথম ওয়ার্ল্ডকন-এ আমন্ত্রণ পেল বাংলা কল্পবিজ্ঞান, কল্পবিশ্ব পত্রিকার সম্পাদক-প্রকাশক দীপ ঘোষ গিয়েছিলেন বাংলা তথা ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে। ভারতীয় কল্পবিজ্ঞানের ইতিহাস, বাংলা কল্পবিজ্ঞান পত্রিকা, এই সময়ের কল্পবিজ্ঞান বই-কথা উঠে এল বিশ্বের দরবারে, পৃথিবী শুনল অদ্রীশ বর্ধন প্রেমেন্দ্র মিত্র সত্যজিৎ রায়-সহ বাংলা কল্পবিজ্ঞানের অগ্রণী কলমের কথা। কলকাতাও কি এমন এক অনুষ্ঠানের আয়োজন ভাবতে পারে না?

শিশুকণ্ঠে

অনুষ্ঠানের শিরোনাম ‘আলো ভুবন ভরা’। সত্যিই যেন ভোরের আলো, কারণ নাচে গানে রবীন্দ্রনাথকে আবাহনে প্রস্তুত ‘দক্ষিণী’র শিশু শিল্পীগোষ্ঠী। প্রতিষ্ঠানের প্ল্যাটিনাম জয়ন্তী উদ্‌যাপনের অঙ্গ এই অনুষ্ঠান, সুষ্ঠু প্রস্তুতির দেখাশোনায় রয়েছেন বড়রা। প্রতিটি অনুষ্ঠানের চেহারা কী রকম হবে, তা নির্দিষ্ট করে দিয়ে গিয়েছিলেন সুদেব গুহঠাকুরতা। ‘আদ্য’ নামের শিশু বিভাগটি দক্ষিণীর গর্ব, এখান থেকেই উঠে এসেছেন শ্রীকান্ত আচার্য প্রবুদ্ধ রাহারা। চারাগাছে জল দেওয়ার এই প্রচেষ্টা আজ পত্রে পুষ্পে বিকশিত। আগামী ১৪ নভেম্বর শিশু দিবসে আইসিসিআর-এর সত্যজিৎ রায় প্রেক্ষাগৃহে সন্ধ্যা ৬টায় গান গাইবে ৭৫ জন শিশুশিল্পী। প্রাক্তন ও কিছু বর্তমান ছাত্রছাত্রী বৃন্দগানে শ্রদ্ধা জানাবেন প্রতিষ্ঠানের সুরগুরুদের। ‘তোমারেই প্রাণের আশা’, ‘তুমি বন্ধু তুমি নাথ’ গানগুলির জোর মহড়া চলছে দক্ষিণীর সেবা মিত্র হল-এ। ছবিতে ১৯৩০-এ মস্কোয় ছোটদের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ।

ভূত ও শহর

লীলা মজুমদারের ভূতের গল্প পড়ে যে স্বাদ, অনেকটা তেমনই এক ভাল-লাগার কথা জানালেন প্রসাদরঞ্জন রায়, এক বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে। দীপঙ্কর মুখোপাধ্যায়ের লেখা কলকাতার ভূত (প্রকা: ঋত) বইটিতে তথ্য ও স্মৃতির সমাহার, পুরাকালের কলকাতা থেকে হালফিল শহরটায় নানা স্থাপত্যের অন্ধিসন্ধিতে ভূতেদের হদিস। ফোর্ট উইলিয়াম, রাইটার্স বিল্ডিং, হাই কোর্ট, ন্যাশনাল লাইব্রেরি, অল ইন্ডিয়া রেডিয়োর পুরনো দফতর, নানা বনেদি বাড়ি নাকি ‘তেনা’দের ঠিকানা! চর্চা হত ঠাকুরবাড়িতেও। প্যারীচাঁদ মিত্র থেকে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র, প্রত্যেকেরই ‘সদ্ভাব’ ছিল ভূত-সঙ্গে। সরস কলমে তা পড়তে পড়তে অবিরত বদলে-যাওয়া এই শহর নিয়ে নস্টালজিয়া ভর করে, বিশেষত এই ভূতচতুর্দশীর আবহে— তা ভূতে বিশ্বাস থাক বা না-ই থাক।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy