প্রতীকী ছবি।
পেনশনার্স সমিতির বৈঠকে যোগ দিতে এসে বেসরকারি বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হল ৭৩ বছরের এক বৃদ্ধের। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুরে মানিকতলা থানা এলাকার উল্টোডাঙা মোড়ের কাছে। মৃত ওই বৃদ্ধের নাম ইন্দ্রশেখর মিশ্র। তাঁর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের বারাসত রোডে। স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন কেএমডিএ-র অবসরপ্রাপ্ত ওই কর্মী।
লালবাজার সূত্রের খবর, অভিযুক্ত বাসচালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে বাসটিও। ধৃত চালকের নাম বিকাশকৃষ্ণ দে। তাঁর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার নিমতায়। তাঁর বিরুদ্ধে বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানো এবং অনিচ্ছাকৃত ভাবে মৃত্যু ঘটানোর মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তভার মানিকতলা থানা থেকে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের ফেটাল স্কোয়াডের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সকালে সল্টলেকের উন্নয়ন ভবনে কেএমডিএ-র পেনশনার্স সমিতির বৈঠকে যোগ দেবেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ওই বৃদ্ধ। ট্রেনে চেপে তিনি প্রথমে বিধাননগর রোড স্টেশনে নামেন। সেখান থেকে বাসে করে যাওয়ার কথা ছিল উন্নয়ন ভবনে। পুলিশ জানায়, উল্টোডাঙা মোড় থেকে ২০১ রুটের এক বেসরকারি বাসে উঠতে যান ইন্দ্রবাবু। বাসটি চলতে শুরু করলে নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে সেটি থেকে পড়ে যান ওই বৃদ্ধ। আশপাশের লোকের চিৎকারে চালক বাস থামিয়ে দেন। কর্তব্যরত ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীরাই অচৈতন্য ইন্দ্রবাবুকে বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।
তদন্তকারীদের দাবি, বৃদ্ধের দেহে আঘাতের চিহ্ন না থাকলেও মুখে রক্ত লেগে ছিল। তাঁদের অনুমান, বাসের পিছনের চাকা ধাক্কা মেরেছে বৃদ্ধের মুখে। দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে।
এ দিন ঘটনাস্থল থেকে ট্র্যাফিক পুলিশ বৃদ্ধের মোবাইলটি উদ্ধার করে। সেখান থেকেই তাঁর মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। বৃদ্ধের মেয়ে সত্যকুমারী মিশ্র সল্টলেকের একটি বেসরকারি অফিসে চাকরি করেন। পুলিশের থেকে খবর পেয়ে হাসপাতালে যান তিনি। তিনি জানান, বছর তেরো আগে তাঁর বাবা অবসর নিয়েছেন। পেনশনার্স সমিতির বৈঠকে যোগ দিতে মাঝেমধ্যেই কলকাতায় আসতেন তিনি। এ দিন বিকেল পর্যন্ত হাসপাতালেই ছিলেন বৃদ্ধের মেয়ে। তবে রাত পর্যন্ত স্ত্রীকে ওই মৃত্যুর খবর জানানো হয়নি।
পুলিশের একাংশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে সব সময়ে পুলিশ মোতায়েন থাকে। তার মাঝেই বাসে উঠতে গিয়ে ওই বিপত্তি ঘটে। এলাকায় যত্রতত্র যাতে বাস না দাঁড়ায় সে জন্য লালবাজারের তরফে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy