প্রতীকী ছবি।
বন্ধ ঘর থেকে তীব্র দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দিয়েছিলেন এলাকার লোকজন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঢুকে দেখে, একটি ঘুপচি ঘরে খাটের উপরে পাশাপাশি শুয়ে আছেন বৃদ্ধা মা ও ছেলে। যুবকের দেহটি ফুলে তাতে পচন ধরে গিয়েছে। এম আর বাঙুর হাসপাতালে ওই যুবককে মৃত ঘোষণা করা হয়। সত্তরোর্ধ্ব তাঁর বৃদ্ধা মাকেও ওই হাসপাতালেই ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় নেতাজিনগর থানার রামগড়ে। পুুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সোমনাথ কুন্ডু (৩৯)। তাঁর মায়ের নাম উত্তমা কুন্ডু। বছর তিনেক আগে উত্তমাদেবীরা ওই এলাকায় একটি বাড়ির একতলায় ভাড়া থাকতে শুরু করেন। প্রৌঢ়ার স্বামী মারা গিয়েছেন। এক বেসরকারি সংস্থায় কম্পিউটার সারাইয়ের কাজ করতেন সোমনাথ।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জেনেছে, একটা ছোট্ট ঘরে চলত উত্তমাদেবীর সংসার। অসুস্থতার কারণে ওই বৃদ্ধাও প্রায় শয্যাশায়ী। তাঁর মানসিক সমস্যাও ছিল। সম্প্রতি সোমনাথও জন্ডিসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। কেন তিনি এ ভাবে ছেলেকে আগলে রয়েছেন, তদন্তকারী অফিসারেরা উত্তমাদেবীকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি অসংলগ্ন কথা বলছিলেন। কখনও বলছিলেন, ছেলে অসুস্থ। কখনও বলেন, ছেলের তেমন কিছু হয়নি। শুধু পেটটা ফুলে গিয়েছে।
পড়শিরা জানিয়েছেন, রীতিমতো মিশুকে ছিলেন সোমনাথ। দিন দশেক আগে তাঁকে শেষ দেখেছিলেন তাঁরা। বাড়ির মালকিন সাবিত্রী মাইতি জানান, বৃহস্পতিবার রাতে তাঁরা ওই ঘর থেকে হাল্কা দুর্গন্ধ পান। কিন্তু তেমন গুরুত্ব দেননি। পুলিশের অনুমান, বেশ কয়েক দিন আগেই মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy