Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Satyendra Nath Bose

‘বিমা চলবে না, নগদ চাই’, বিপর্যস্ত বিজ্ঞানী সত্যেন বসুর করোনা আক্রান্ত ছেলে

পরিজনদের নগদে বিল মেটানোর জন্য চাপ দেওয়া হয়। টাকা না দিলে রোগীকে ‘ডিসচার্জ’ করতে অস্বীকার করা হয়।

রমেন বসু। —নিজস্ব চিত্র।

রমেন বসু। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০২০ ১৭:২৫
Share: Save:

করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর ফের হয়রানির শিকার রোগী! এ বার ভুক্তভোগী বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুর ছোট ছেলে রমেন বসু। অভিযোগ, শরৎ বোস রোডের পদ্মপুকুর এলাকার একটি নার্সিংহোমে তাঁকে ভর্তি করা হলে, সেখানে স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা রয়েছে বলে প্রথমে জানানো হয়েছিল। কিন্তু করোনা ধরা পড়ার পর, বেঁকে বসে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। পরিজনদের নগদে বিল মেটানোর জন্য চাপ দেওয়া হয়। টাকা না দিলে রোগীকে ‘ডিসচার্জ’ করতে অস্বীকার করা হয়। পরে দীর্ঘ টালবাহানার পর ছাড়তে রাজি হলেও, বিমা গ্রাহ্য হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ঠিক কী ঘটেছিল?

স্ত্রী মারা যাওয়ার পর হুগলির কোন্নগরের একটি হোমে একাই থাকতেন রমেন বসু। জ্বর-সর্দি-কাশি ধরা পড়ায় তাঁকে ১১ অগস্ট পার্ক সার্কাসের ওই বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। তখন রমেনবাবুর করোনা ধরা পড়েনি। ১২ অগস্ট নমুনা সংগ্রহ করে কোভিড-১৯ টেস্ট করা হয়। গত ১৪ অগস্ট রিপোর্ট পজিটিভ আসে।

পরিজনদের দাবি, ভর্তি হওয়ার সময় বলা হয়েছিল স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা রয়েছে। কিন্তু করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসায়, জানানো হয় বিমা গ্রাহ্য করা হবে না। বিল মেটাতে হবে নগদেই। এমনকি, প্রথমে এক লক্ষ টাকাও দাবি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ সত্যেন্দ্রনাথ বসুর নাতনি নন্দিনী প্রিয়দর্শিনী বসুর। তাঁর কথায়, “কাকা রমেন বসু ডিসিপিএল-এ কাজ করতেন। স্বাস্থ্য বিমা রয়েছে। কিন্তু কিছুতেই বিমার সুবিধা দিতে চাইছে না পদ্মপুকুরের ওই নার্সিংহোমটি। প্রথমে ১ লক্ষ টাকাও চাওয়া হয়েছিল। আমি দিইনি। তার পরে প্রায় তিন লক্ষ টাকা বিল মিটিয়ে দিতে বলা হয়।”
আরও পড়ুন: রাহুলকে ঘিরে কংগ্রেসের বৈঠকে শোরগোল তুঙ্গে, নাটক প্রকাশ্যেও​

আরও পড়ুন: প্রয়োজনে সেনা অভিযানে নামব, লাদাখের পরিস্থিতি নিয়ে চিনকে হুঁশিয়ারি রাওয়তের​


তিনি বলেন, “যে নার্সিংহোমে কাকাকে ভর্তি করা হয়েছিল, ওই নার্সিংহোমের ম্যানেজমেন্টেরই কোন্নগর হোমে উনি থাকেন। বিভিন্ন মহলে জানানোর পর, শেষ পর্যন্ত বলা হয়, আমরা হোমের সঙ্গে কথা বলছি। এখন কাকার রিপোর্ট নেগেটিভ। আজ নার্সিংহোমের তরফে আসতে বলা হয়েছে। সেখান থেকে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে।”

এ বিষয়ে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। প্রথমে রমেন বসু যে কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন যোগাযোগ করা হয় সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত এক আধিকারিকের সঙ্গে। তিনি জানান, 'রমেনবাবুকে ইতিমধ্যেই ডিসচার্জ করা হয়েছে, কী কারণে সমস্যা হয়েছিল তা কর্তৃপক্ষই সঠিক ভাবে বলতে পারবে'। এর পর ওই নার্সিংহোমের কর্ণধারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা হয়। তাঁর সেক্রেটারির নম্বরে বেশ কয়েক বার ফোন করা হলেও কেউ তোলেননি। উল্লেখ্য, এদিনই রমেন বসুকে হাসপাতাল থেকে হোমে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত সেখানে তিনি রয়েছেন বলে জানিয়েছেন নন্দিনী প্রিয়দর্শিনী বসু।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy