Advertisement
২০ নভেম্বর ২০২৪

কুকুর সামলান, নার্সদের চিঠি কর্তৃপক্ষকে 

কখনও সদ্য অস্ত্রোপচার হওয়া রোগীর বিছানা ধরে উঠে দাঁড়াচ্ছে কুকুর। কখনও স্যালাইনের পাইপ কিংবা ক্যাথিটার ধরে টানাটানি করছে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে কুকুরের এমন দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে এ বার সুপারকে চিঠি দিলেন বিভাগীয় নার্সেরা।

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০১৯ ০০:০৯
Share: Save:

কখনও সদ্য অস্ত্রোপচার হওয়া রোগীর বিছানা ধরে উঠে দাঁড়াচ্ছে কুকুর। কখনও স্যালাইনের পাইপ কিংবা ক্যাথিটার ধরে টানাটানি করছে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে কুকুরের এমন দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে এ বার সুপারকে চিঠি দিলেন বিভাগীয় নার্সেরা। তাঁদের আর্জি, রোগীদের কাছে কুকুরের ঘোরাফেরা বন্ধ হোক।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওয়ার্ডের ভিতরে কুকুরের দাপাদাপি নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই ক্ষোভ প্রকাশ করেন রোগীদের পরিজনেরা। তাঁদের অভিযোগ, অস্ত্রোপচারের পরে সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে রোগীকে বিশেষ যত্নে রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু হাসপাতালের ভিতরেই রোগীরা যে ভাবে কুকুরের পাশাপাশি থাকতে বাধ্য হন, তার জেরে সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। সার্জারি বিভাগে কর্তব্যরত এক নার্সের কথায়, ‘‘কয়েক দিন আগে এক জন রোগীর স্যালাইনের পাইপের উপরে এমন ভাবে কুকুরছানা লাফিয়েছিল যে, বড় বিপদ ঘটে যেতে পারত। তখন কিন্তু নার্সদের বিরুদ্ধে কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ উঠত।’’ কর্তব্যরত নার্সদের একাংশ জানান, খাবারের আশপাশে ঘুরে বেড়ানো ছাড়াও কুকুরগুলি মূত্রের ব্যাগ কামড়ে ফুটো করে দেয়। তাতে যে কোনও সময়ে বড় বিপদ ঘটতে পারে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে পদক্ষেপ করা জরুরি। তাই সুপার ইন্দ্রনীল বিশ্বাসকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

১৩ জানুয়ারি নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভিতরে প্যাকেটবন্দি অবস্থায় ১৬টি কুকুরছানার দেহ উদ্ধারের পরে উত্তেজনা তৈরি হয়। সেখানকার নার্সিং কলেজের দুই পড়ুয়ার বিরুদ্ধে কুকুরছানাদের পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। তাঁদের আবার পাল্টা অভিযোগ ছিল, হাসপাতাল চত্বরে কুকুরের দাপট খুব বেড়ে গিয়েছে। এমনকি, ৩৫ জন পড়ুয়াকে কুকুর কামড়ে দিয়েছে বলেও অভিযোগ। আরও অভিযোগ, বারবার কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও সুরাহা মেলেনি এবং পড়ুয়াদের চিকিৎসা নিয়েও তৎপরতা দেখাননি তাঁরা। ওই ঘটনার সূত্রে হাসপাতাল চত্বরে কুকুর-বেড়ালের ঘোরাফেরায় রাশ টানার দায়িত্ব নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়। হাসপাতাল ও পুরসভা কেন দায়িত্ব পালন করেনি, সে প্রশ্নও ওঠে।

কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কর্তারা জানান, নার্সদের অভিযোগ পেয়েই পুর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে পরিস্থিতি জানানো হয়েছে। কুকুরের নির্বীজকরণ প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করতে আলোচনাও শুরু হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Nuisance Dogs Calcutta Medical College Nurse
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy