গত বারের তুলনায় এ বার সিবিএসই-র দশম ও দ্বাদশে পাশের হার কমেছে। প্রতীকী ছবি।
গত বারের তুলনায় এ বার সিবিএসই-র দশম ও দ্বাদশে পাশের হার কমেছে। কলকাতার স্কুলগুলি জানিয়েছে, কোভিড-পরবর্তী সময়ে এ বারই পড়ুয়ারা গোটা পাঠ্যক্রমের উপরে পরীক্ষা দিয়েছিল। তবে, দু’টি সিমেস্টারে ভাগ করে নয়, আগের নিয়মে একটি পরীক্ষাই হয়েছে। দ্বাদশের পরীক্ষার্থীরা করোনার কারণে দশমের বোর্ডের পরীক্ষা দেয়নি। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষাই তারা দিল দ্বাদশে। কলকাতার সিবিএসই স্কুলগুলি জানাচ্ছে, ফলাফলে তারা মোটের উপরে খুশি।
দশমের পরীক্ষায় সাউথ পয়েন্ট স্কুলের কৃতিকা গুহ পেয়েছে ৯৯ শতাংশ নম্বর। ওই স্কুলের সার্বিক ফলাফল খুবই ভাল হয়েছে। ৯৫ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছে ১১৯ জন। ডিপিএস রুবি পার্কের দশমের পড়ুয়া ঈপ্সা রায়ও পেয়েছে ৯৯ শতাংশ নম্বর। ওই স্কুলের দশমের পড়ুয়াদের মধ্যে ৯০ থেকে ১০০ শতাংশ নম্বর পেয়েছে ২৪২ জন। জি ডি গোয়েন্কা পাবলিক স্কুল, দক্ষিণেশ্বরের পড়ুয়া সৌমশ্রী চট্টোপাধ্যায় পেয়েছে ৯৯ শতাংশ নম্বর। শ্রীশিক্ষায়তন স্কুলের পৃথা বন্দ্যোপাধ্যায়ও পেয়েছে ৯৯ শতাংশ নম্বর। মহাদেবী বিড়লা ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমির অনন্যা আগারওয়াল পেয়েছে ৯৮.৬০ শতাংশ নম্বর।
সাউথ পয়েন্টের কৃতিকা জানাল, পাঠ্য বই খুঁটিয়ে পড়েই তার সাফল্য এসেছে। সেই সঙ্গে অন্যান্য বছরের প্রশ্নপত্র নিয়ে চলেছে অনুশীলন। তবে কৃতিকা বলল, ‘‘অযথা উদ্বেগে থাকিনি। ঠান্ডা মাথায় প্রস্তুতি নিয়েছি।” শ্রীশিক্ষায়তনের পৃথার কথায়, “৯৯ শতাংশের কাছাকাছি নম্বর পাব ভেবেছিলাম। ভবিষ্যতে মাইক্রোবায়োলোজি বা ফরেন্সিক সায়েন্স নিয়ে পড়তে চাই।” জি ডি গোয়েন্কা পাবলিক স্কুল, দক্ষিণেশ্বরের সৌমশ্রী বলল, “পরীক্ষার তিন মাস আগেই সিলেবাস শেষ হয়ে গিয়েছিল। তার পর থেকে বাড়িতে বসে সময় ধরে শুধু পরীক্ষা দিয়েছি।” সৌমশ্রীর পরামর্শ, ‘‘এনসিইআরটি-র পাঠ্য বই খুঁটিয়ে পড়তে হবে।”
দ্বাদশের পরীক্ষায় ডিপিএস রুবি পার্কের বাণিজ্য শাখার ছাত্র অরণ্য হালদার ৯৯ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। সে বলল, “আমি প্রথমে বিজ্ঞান শাখায় ভর্তি হয়েছিলাম। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যেই বাণিজ্য শাখায় চলে আসি। চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্সি পড়তে চাই।” মহাদেবী বিড়লা ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমির দশম শ্রেণির অনন্যা আগারওয়াল ৯৮.৬০ শতাংশ নম্বর পেয়ে স্কুলে প্রথম হয়েছে। ওই স্কুলেরই দিয়া দাগা দ্বাদশের বিজ্ঞান বিভাগে ৯৭.৪০ শতাংশ নম্বর পেয়ে স্কুলে প্রথম হয়েছে। বিড়লা হাইস্কুলের দশমের পরীক্ষার্থী আর্য বন্দ্যোপাধ্যায় ও আরিয়ান বৎস ৯৭.২ শতাংশ নম্বর পেয়ে স্কুলে যুগ্ম প্রথম হয়েছে। দ্বাদশের বাণিজ্য শাখার হরসিত কেডিয়া ৯৮.৬ শতাংশ নম্বর পেয়ে স্কুলে প্রথম হয়েছে।
দ্বাদশের পরীক্ষায় হাওড়ার সাঁকরাইলের দুইল্যার বাসিন্দা সৌম্যদিত্য চন্দ্র ৯৮.২ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। সে সাউথ পয়েন্টের ছাত্র। লক্ষ্মীপত সিংঘানিয়া স্কুলের দ্বাদশের মেঘাল জৈন ও কুশা শ্রীবাস্তব বিজ্ঞান শাখায় পেয়েছে ৯৮.৬০ শতাংশ। কলা বিভাগের অনিকেত চক্রবর্তী পেয়েছে ৯৮.৬০ শতাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy