নিম্নচাপের ভ্রুকুটির জেরে জল-যন্ত্রণার মধ্যে পড়ার আশঙ্কায় বুধবার রাস্তায় নামেনি বেসরকারি বাস ও মিনিবাসের একটি বড় অংশ। এর মধ্যেই আজ, বৃহস্পতিবার, ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের কাজে পুলিশ ও ভোটকর্মীদের যাতায়াতের জন্য বেশ কিছু বাস-মিনিবাস তুলে নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার থেকেই দফায় দফায় ওই সব বাস-মিনিবাস তুলে নেওয়া হয়। যার ফলে আজ এবং কাল, শুক্রবার শহরে বাসের আকাল দেখা দিতে পারে।

করোনা পরিস্থিতিতে নির্বাচনের কারণে প্রতি বুথের জন্য একটি করে মিনিবাস নেওয়ার কথা আগেই শোনা গিয়েছিল। পরিবহণ দফতর সেই মতো বাস অধিগ্রহণের প্রস্তুতি নিতেও শুরু করে। শুধুমাত্র ভোটকর্মীদের যাতায়াত এবং ভোটের সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়ার জন্য ওই সংখ্যক বাস নেওয়ার কথা ভাবা হয়েছিল বলে খবর। ভোটকর্মীদের জন্য নেওয়া বাসের সংখ্যা আগের তুলনায় অনেকটাই কমেছে। তবে, উপনির্বাচন উপলক্ষে পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর যাতায়াতের জন্য
১৫০টিরও বেশি বাস-মিনিবাস লাগছে বলে খবর। যার অধিকাংশই আগামী ৩ অক্টোবর, নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিন পর্যন্ত পুলিশের অধীনে থাকবে।

বাস-মিনিবাস মালিকদের সংগঠন সূত্রের খবর, পুলিশের তরফে প্রায় ১০০টি মিনিবাস ও ৫০টি বেসরকারি বাস নেওয়া হয়েছে। আর ভোটকর্মীদের যাতায়াতের জন্য নির্বাচন কমিশন নিয়েছে আরও ৬৫টি মিনিবাস ও ২০টি বেসরকারি বাস। ‘বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সাধারণ সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বসু বললেন, ‘‘এক দিকে নির্বাচনের কাজে বেশ কিছু বাস তুলে নেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে, বুধবার খারাপ আবহাওয়ার কারণে ছোট চাকা এবং নিচু মেঝের অধিকাংশ বাসই পথে নামেনি। আবহাওয়ার উন্নতি হলে সমস্যা কমবে বলে আশা করছি।’’ ‘মিনিবাস অপারেটর্স কোঅর্ডিনেশন কমিটি’র সাধারণ সম্পাদক স্বপন ঘোষ বলেন, ‘‘খারাপ আবহাওয়ার কারণে বাসের সংখ্যা অনেক কমেছে। বৃষ্টি কমলে এবং নির্বাচন-পর্ব মিটলে বাসের সংখ্যা আবার বাড়বে বলে আশা করছি।’’